পায়রা বন্দরের বৈদেশিক বাণিজ্যের গতিশীলতা ধরে রাখার জন্য রাবনাবাদ চ্যানেলের জরুরি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪৩৭ কোটি টাকা অনুদানে ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য
এবং ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) প্রায় ৯ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা ৬ দশমিক ৩ মিটার বজায় রাখার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের গতিশীলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ড্রেজিংয়ের ফলে বাণিজ্যিক জাহাজের গমনাগমন অব্যাহত থাকবে, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। ১৮ মাস সময়ের মধ্যে এই ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ৬ দশমিক ৩ মিটার গভীরতা বজায় রাখার লক্ষ্যে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ইয়ান ডে নুলের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
গতকাল পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, পায়রা বন্দর ২০৩৫ সালে দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দরের কার্যক্রম সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।