পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গিয়েছিল যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি। তবে পরিবহন ও রেস্তোরাঁ খাতের ব্যবসা পুনরায় সচল হতে শুরু করায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি আবার ঊর্ধ্বগতির ধারায় ফিরেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত মাসে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। আগের মাসে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল দশমিক ২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বাদ দিয়ে কোর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনো বেশ কমে রয়েছে। গত এপ্রিলে ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস মহামারী সৃষ্ট অর্থনৈতিক স্থবিরতায় গত ছয় মাসে তা কখনই কাঙ্ক্ষিত মাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে আরো এক দফা প্রণোদনা প্রদানের দাবি জোরালো হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
করোনাপূর্ব সময়ের চেয়ে এখনো ৯ শতাংশ সংকোচনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। কর্মসংস্থান পরিস্থিতিতে এখনো আশানুরূপ উত্তরণ ঘটেনি। এ কারণে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি আবার কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় বিওই তাদের পরবর্তী বৈঠকে মুদ্রানীতি আরো সহজ করার ঘোষণা দেবে বলে তারা আশা করছেন।
যুক্তরাজ্যের অনেক অংশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় সেসব অঞ্চলে পুনরায় লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ফের অচলাবস্থা তৈরি হবে। প্রথম দফার লকডাউনে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক উৎপাদন গত তিন শতকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিওইর একজন নীতিনির্ধারক সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক ঝুঁকি আমাদের আরো প্রণোদনার দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে।
