চলতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে চায় বিইআরসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম চলতি মাসেই নির্ধারণ করতে চায় বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জ্বালানি পণ্যটি নিয়ে কমিশন ইতোমধ্যে একটি ফর্মুলা তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সারা দেশে এলপিজির অভিন্ন একটি মূল্যতালিকা হতে পারে। একই সঙ্গে মাসিক বা প্রতি তিন মাসে একবার করে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা যেতে পারে। এজন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা যেতে পারে।

গতকাল বিইআরসি আয়োজিত ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিইআরসি। একই সঙ্গে একটি ফর্মুলা তুলে ধরা হয়।

মূল প্রবন্ধে বিইআরসির উপপরিচালক (ট্যারিফ) কামরুজ্জামান বলেন, এলপিজির রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টনপ্রতি পরিবহন ব্যয় ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ। ব্যয় কমানো গেলে দেশে এলপিজির দাম কমানো সম্ভব।

কীভাবে এলপিজির দাম আরো কমিয়ে আনা সম্ভব বিষয়ে বিইআরসির পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে বড় জাহাজে করে এলপিজি আনতে হবে। এককভাবে না পারলে যৌথভাবেও এলপিজি আনা সম্ভব।

বাংলাদেশ এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, বেসরকারি খাতে যদি কেউ ব্যবসা করতে চায় তাহলে বিপিসির জন্য একটি মার্কেটিং ফি দিতে হয়। লাখ টাকা করে বিপিসিতে বছরে ফি দিতে হয়। আবার এখন বিইআরসি চিঠি দিয়ে বলছে তারা দাম ঠিক করতে চায়। যেহেতু দুই পক্ষই আমাদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে, তাই আমরা ঠিক জানি না কে রেগুলেটর, বিইআরসি না বিপিসি।

দাম নির্ধারণ করতে গিয়ে বিইআরসি যে কমিটি করেছে সেখানে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। তাহলে আমাদের আর প্রয়োজন কী? তারাই দাম ঠিক করে দিয়ে দেন।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, আইন অনুযায়ী লাইসেন্সধারীরা আবেদন না করলে বিইআরসি মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। কিন্তু কেউ আবেদন না করলে বিইআরসি তাহলে কীভাবে দাম নির্ধারণ করছে?

বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কেউ না চাইলে আমরা দাম পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু এখন আমরা দাম নির্ধারণ করছি।

মূল প্রবন্ধে বিইআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের হলদিয়া বন্দরে টনপ্রতি এলপিজি আমদানি ব্যয় ৬০ ডলার অন্যদিকে বাংলাদেশে যা সর্বোচ্চ ১৩০ ডলার। বলা হয়, মোংলা বন্দরের হারবারিয়া এলাকায় ৩০ হাজার টন এলপিজির জাহাজ আনা সম্ভব। এটি করা সম্ভব হলেও দেশে এলপিজির পরিবহন ব্যয় টনপ্রতি ৮০ ডলারে নামিয়ে আনা সম্ভব।

আলোচনা সভায় বিইআরসি চেয়ারম্যান ছাড়াও সদস্য মকবুল ইলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমামসহ এলপিজি প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন