দেড় লাখ মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল আমদানির অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে জিটুজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন করে মোট দেড় লাখ মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল আমদানি করবে সরকার। আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বছরের ১৯তম এ সভায় ‘০.৫ শতাংশ সালফার’ নামমাত্রার মেরিন ফুয়েল আমদানির প্রিমিয়াম ও মূল্য (রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী) অনুমোদন করা হয়। সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ; যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চলতি বছরের মে থেকে ডিসেম্বর মাস সময়ে মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে মেরিন ফুয়েল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য মেরিন ফুয়েল আমদানির লক্ষ্যে ‘আন্তর্জাতিক দরপত্র পদ্ধতিতে’ দরপত্র আহ্বান করলে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপ্রস্তাব পাওয়া যায় এবং চারটি প্রস্তাবই রেসপনসিভ হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইএনওসি সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে ২২২ কোটি পাঁচ লাখ টাকায় ৭৫ হাজার মে. টন মেরিন ফুয়েল আমদানির জন্য অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়াও একই সময়ের জন্য ছয়টি জিটুজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটেশন আহ্বান করলে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটেশন প্রস্তাব পাওয়া যায়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং পিটিই লিমিটেডের কাছে ২১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল আমদানির জন্য অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাব দুটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র (সিসিজিপি) বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বিপিসি থেকে এর আগে কখনো ‘০.৫ শতাংশ সালফার’ নামমাত্রার মেরিন ফুয়েল আমদানি করা হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) রেগুলেশন অনুযায়ী এবছরের ১ জানুয়ারি এ ধরনের মেরিন ফুয়েল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন