বাজেট ২০২০-২১

করোনা ক্ষান্ত করতে পারেনি অর্থমন্ত্রীর উচ্চাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষত তৈরি করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের প্রায় সবাই একমত। দীর্ঘমেয়াদি ধস থেকে অর্থনীতির পুনরুত্থান হবে শ্লথগতিতেএমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ভয়াবহ হতাশাজনক ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য . ডুম হিসেবে পরিচিত নোরিয়েল রুবিনি থেকে শুরু করে অতি আশাবাদী অ্যালান গ্রিনস্প্যান পর্যন্ত কোনো অর্থনীতিবিদই মন্দা পরিস্থিতি এড়ানোর মতো কার্যকর কোনো উপায় দেখাতে পারছেন না। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি সংকুচিত হবে দশমিক শতাংশ। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রবাহ বয়ে গেলে সংকোচনের মাত্রা দশমিক শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে ওইসিডি।

করোনার কালো ছায়ার বাইরে নয় বাংলাদেশও। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিছুটা আশাবাদ দেখালেও প্রক্ষেপণে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির হার শতাংশের ওপর যাওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না কেউই। আগামী অর্থবছরে শ্লথতা আরো জোরালো হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাগুলো। তাদের আশঙ্কা অমূলক নয় মোটেও। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধোগতি দেখা যাচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নেও। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ভয় জাগাচ্ছে সার্বিক উৎপাদন কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। শুধু রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে সেটুকু ধরে রাখা নিয়েও বড় মাপের সংশয় তৈরি করেছে বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান ধস।

এমনই এক পরিস্থিতিতে গতকাল জাতীয় সংসদে নিজের দ্বিতীয় বাজেট উত্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। করোনা ঝড়ের এই সময়েও নিজের দেয়া দ্বিতীয় বাজেটে উচ্চাশার বাণী শোনাতে ভোলেননি অর্থমন্ত্রী। ২০২০-২১ অর্থনৈতিক উত্তরণ ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শিরোনামের এবারের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে দশমিক শতাংশ। বাড়ানো হয়েছে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রাও, প্রায় দশমিক ৬০ শতাংশ।

বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালের জন্য জিডিপির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। পরে তা সংশোধন করে আনা হয় ২৮ লাখ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরে (২০২০-২১) এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী মোট ব্যয়ের প্রস্তাব করেছেন লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বা প্রায় দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে সংশোধিত বাজেট থেকে এটি প্রায় ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বা প্রায় ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।

বাজেটে অর্থমন্ত্রীর দেয়া ব্যয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন রাজস্ব আহরণ। এজন্য আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও রয়েছে সংশয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে বেশ উচ্চাভিলাষী অবাস্তব বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, করোনা পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রায় অধিকাংশ সূচকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বড় ধরনের সংশয় রয়েছে। রাজস্ব আহরণের দিক থেকে আমদানি বাণিজ্যে স্থবিরতার কারণে ভ্যাট শুল্ক আদায় বাড়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়া চলমান সংকটের কারণে প্রণোদনা হিসেবে রাজস্ব আয়ের আরেকটি বড় খাত ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের কর থেকে অব্যাহতি বা মওকুফ চাইছে সবাই। ফলে বড় বাজেটের জন্য বড় রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও খুব কম।

এদিকে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে এবার ঘাটতি বেড়েছে বাজেটে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ (অনুদান ব্যতীত) ছিল লাখ ৫৩ হাজার ৫০৮ কোটি বা জিডিপির প্রায় সাড়ে শতাংশ। কিন্তু আগামী অর্থবছরের জন্য ঘাটতি ধরা হয়েছে প্রায় লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির প্রায় শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির হার দাঁড়ায় দশমিক শতাংশে।

বাজেটের ঘাটতি মেটানোয় নির্ভর করতে হবে ব্যাংকিং খাতের ওপর। ঘাটতি পূরণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে নেয়া হবে প্রায় ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট থেকে প্রায় ৩৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বেশি। আবার অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিদেশী ঋণনির্ভরতাও বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৩ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেটে তা উন্নীত করা হচ্ছে ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকায়। বাড়তি ঋণের কারণে আগামী অর্থবছরে সরকারের সুদ পরিশোধ বাবদ প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তুকি বাবদ ব্যয় হবে ৪৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জিডিপির সঙ্গে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান রাজস্ব আদায়ের প্রক্ষেপণ বাস্তবসম্মত হয়নি। ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নেয়ার চিন্তা হিতে বিপরীত হতে পারে। এমনিতেই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কম। অবস্থায় সরকার বড় অংকের ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরো কমবে। তাতে বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা . এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রফতানি বাণিজ্য, রেমিট্যান্স, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাস্তবসম্মত নয়। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। এনবিআর বলছে, তারা কর আহরণ করতে পারবে না। এটার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। কারণ ব্যক্তি করপোরেট করহার অনেক ক্ষেত্রেই কমছে। বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড়ও দেয়া হচ্ছে। ফলে রাজস্ব আদায়ের হার নিম্নমুখী থাকবে। কিন্তু সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এতে ঘাটতি আরো বাড়বে। আবার ঘাটতি মেটাতে গিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতাও সমর্থনযোগ্য নয়। ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট রয়েছে। ফলে এতে বেসরকারি বিনিয়োগ কমতে পারে। এছাড়া মূল্যস্ফীতিকেও তা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে সামষ্টিক কাঠামোয় এটি অতিরঞ্জিত এবং মোটেও বাস্তবসম্মত বাজেট নয়।

এদিকে জমি-ফ্ল্যাট কিনে এবং শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে এবারের বাজেটে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করলেই বৈধতা দেয়া হবে। এভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দুর্বৃত্তায়নকে আরো উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশ থেকে আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং এবং ভুয়া বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ পাচার কর ফাঁকির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে এবং যে পরিমাণ প্রদর্শিত বিনিয়োগ ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হবে তার ওপর ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা লাখ টাকা করা হয়েছে। নারী ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ধরা হয়েছে লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাজেটে করপোরেট করহার কমছে। বাড়ছে তৈরি পোশাক শিল্পে করছাড়ের মেয়াদও। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

অবশ্য অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বাজেট কর্মপরিকল্পনায় চারটি কৌশলগত দিকে নজর দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রথম কৌশলটি হলো সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেয়া এবং বিলাসী ব্যয়কে নিরুৎসাহিত করা। ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা এবং দেশ-বিদেশে উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তোলার বিষয়টিকে দ্বিতীয় কৌশল হিসেবে উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। তৃতীয় কৌশলটি হলো হতদরিদ্র কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো। অর্থমন্ত্রীর শেষ কৌশলটি হলো বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা। তবে মূল্যস্ফীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে বেশ সতর্কতার সঙ্গে কৌশলটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট বক্তৃতায় গত এক দশকে সুশৃঙ্খল মুদ্রা রাজস্ব নীতির কারণে আমাদের ঋণস্থিতি-জিডিপি অনুপাত অত্যন্ত কম বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। অনুপাত ৩৪ শতাংশ হওয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবে সরকারি ব্যয় বাড়লেও তা সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস অর্থমন্ত্রীর।

বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে ৫০ লাখ দরিদ্র কর্মজীবী মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা দেয়া হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১১ লাখ হাজার সুবিধাভোগী। খাতে বাজেটের প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরে কভিড-১৯ মোকাবেলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিজ্ঞান-প্রযুুক্তি খাতের গবেষণার উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা উন্নয়ন তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

দেশীয় শিল্পের বিকাশে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা রয়েছে বাজেট প্রস্তাবে। আগামী অর্থবছরও সেলফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় নমুনা পরীক্ষার কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী এবং কভিড-১৯ নিরোধক ওষুধে আমদানি, উৎপাদন ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বাজেট বক্তব্য উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে আমরা সবাই পুরোপুরি আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম বছর আমরা আমাদের অর্থনীতিতে দেশের সেরা প্রবৃদ্ধিটি জাতিকে উপহার দেব। কিন্তু দুঃখের বিষয় করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বের অর্থনীতির হিসাবনিকাশকে সম্পূর্ণ ওলটপালট করে দিয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন