অগ্রহায়ণের শেষ থেকেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরো কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এক সপ্তাহে শুধু লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালেই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে ভর্তি আছে দুই শতাধিক। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই অবস্থা জেলার কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয়। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসক ও নার্স সংকটে থাকা সবক’টি হাসপাতালেই অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেক রোগীকে বেড দিতে না পেরে বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ঠাণ্ডার মধ্যে মেঝেতে চিকিৎসা নেয়া শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও কষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী আসছে। জরুরি বিভাগে দৈনিক চিকিৎসা নিচ্ছে ৭০-৮০টি শিশু। এর মধ্যে ২৫-৩০ শিশুকে ভর্তি করতে হচ্ছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৪৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। বুধবার ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ৫৩ শিশু এবং মঙ্গলবার ২৫ শিশু। প্রতিদিনই এভাবে চিকিৎসাপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এরপরও অনেক শিশুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে মেঝেতে রেখে। এতে রোগীর পাশাপাশি স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রায় সব হাসপাতালেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় হঠাৎ রোগীর চাপে বিপাকে পড়েছেন দায়িত্বরতরা। এত রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সেসঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামেরও রয়েছে সংকট।
লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ এলাকার আড়াই বছরের শিশু সুমাইয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন আমেনা বেগম। তিনি বলেন, মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ডাক্তার ভর্তি করাতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে তো সংকটের শেষ নেই। বেড পাওয়া যাচ্ছে না, ডাক্তার-নার্সও সময়মতো পাওয়া যায় না।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ ইছমাইল হাসান জানান, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর