চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের গাড়ি বিক্রিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পতন লক্ষ করা গেছে। গত মাসে দেশটির বৃহত্তম গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুজুকি-মারুতির বিক্রি কমেছে ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ, যা কোম্পানিটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির মোট গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৪০টি। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ে তাদের বিক্রি ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ২৯০টি। সেপ্টেম্বরে সুজুকি-মারুতির গাড়ি বিক্রি কমলেও মাসওয়ারি হিসাবে ইতিবাচক একটি বিষয় রয়েছে। বিশেষত বড় কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক মূল্যছাড় ও বিভিন্ন অফারে আগামীতে দেশটির গাড়ির বিক্রি ইতিবাচকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। দিপাবলীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শোরুমে কিছুদিন ধরে ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান আনাগোনা আশার সঞ্চার করছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের।
প্রথমবারের মতো যারা গাড়ি কেনেন, তারাই মূলত বাজারের প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করেন বলে জানিয়েছেন হিরো মোটর করপোরেশনের প্রধান (বিক্রয়) সঞ্জয় ভান। সূত্র: বিএস
সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে উৎপাদন পিএমআই
সেপ্টেম্বরেও স্থবির রয়েছে ভারতে উৎপাদন কার্যক্রম। দেশটির গত মাসের উৎপাদন কার্যক্রম ২০১৮ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমায় এ খাত মন্থর হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি খাতের জরিপ সংস্থা নিক্কাই ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)।
নিক্কাই ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে সেপ্টেম্বরে দেশটির পিএমআই ৫১ দশমিক ৪ পয়েন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আগের মাসের সমান। দেশ ও বিদেশে দেশটির পণ্যের দুর্বল চাহিদার কারণে আগস্টের মতো সেপ্টেম্বরেও ভারতের উৎপাদকরা আরেক দফা নেতিবাচক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির পণ্যের চাহিদা কমায় সেখানকার উৎপাদকদের উৎপাদন, পণ্য মজুদ ও কাঁচামাল খরিদ সবই কমাতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোনো দেশের পিএমআই ৫০ পয়েন্টের নিচে হলে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত, বেশি হলে সম্প্রসারিত হয়েছে বলে ধরা হয়। সূত্র: দ্য হিন্দু
