বড় বাজার মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে বেশি রিটার্ন আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাঝারি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর তুলনায় বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে রিটার্ন বেশি এসেছে। গত আগস্টে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে রিটার্ন এসেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। আইডিএলসির ফাইন্যান্সের পুঁজিবাজারসংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে যেসব কোম্পানির বাজার মূলধন ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার বা তার বেশি সেগুলোকে বড় মূলধনি, যেগুলোর বাজার মূলধন ২ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার সেগুলো মাঝারি, বাজার মূলধন ৯ লাখ থেকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার হলে স্বল্প মূলধনি ও বাজার মূলধন ৯ লাখ ডলারের কম হলে অতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়েছে। 

তথ্য অনুসারে, গত আগস্টে বড় বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মাঝারি মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ৮ দশমিক ২ ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। আর অতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৪ শতাংশ। 

এর আগে জুলাইয়ে বড় বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে দশমিক ৬ শতাংশ, মাঝারি মূলধনি কোম্পানিগুলোর ৩ দশমিক ৪ ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। আর অতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ শতাংশ। জুনে বড় বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, মাঝারি মূলধনি কোম্পানিগুলোর দশমিক ৭ ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দশমিক ১ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। আর অতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

গত আগস্টে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের রিটার্ন এসেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে গত মাসে নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস৩০-এর ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। আগের মাসে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। জুনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএসে গত আগস্টে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৭ দশমিক ৬, জুলাইয়ে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ২, আর জুনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

গত আগস্টে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৩০ কোটি, জুলাই শেষে ৫ হাজার ৪১২ কোটি আর জুন শেষে ছিল ৫ হাজার ৬১২ কোটি ডলার। এছাড়া গত জুলাইয়ে দৈনিক ৭ কোটি ২৮ লাখ, জুলাইয়ে ৫ কোটি ১৪ লাখ ও জুনে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার লেনদেন হয়েছে। 

গত মাসে খাতভিত্তিক ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল টেলিযোগাযোগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জীবন বীমা ও ব্যাংক খাত। এসব খাতে রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৪, ২৯ দশমিক ১, ২৫ দশমিক ২, ২৩ দশমিক ২ ও ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে শুধু কাগজ, পাট ও বিবিধ খাতে। এ তিন খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৮, ৫ দশমিক ৬ ও ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন