রাঙ্গামাটি- খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি- সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জেলা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। সম্প্রতি সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার পর সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আলোচনা করেন তারা।

উপদেষ্টারা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা সদর দপ্তরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্টজন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে হত্যার পর পরিস্থিতির আকস্মিক অবনতিতে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টারা নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ওপর বর্তায় এবং তারা যেন যথাযথ ভূমিকা পালন করেন সে আহ্বান জানানো হয়।

উপদেষ্টারা আরো বলেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এলাকায় কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উপদেষ্টারা স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, গত তিন দিনে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, উপাসনালয়ে কোনো আক্রমণ সহ্য করা হবে না।

উপদেষ্টারা বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেয়। কেউ এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তারা।

উপদেষ্টারা আরো বলেন, আহত সকল ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রয়োজন হলে সামরিক হাসপাতালগুলোকেও আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে কমিটি গঠন করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন