ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ২০৭ কোটি টাকার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবিসি) গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ১৭২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সে হিসাবে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৫০ কোটি টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ টাকা ৫৯ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৯ টাকা ১৪ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৪৭ পয়সায়।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল বিএটিবিসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ২৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা। 

২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১৫০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত ও বাকি ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটিবিসি। এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ওই হিসাব বছরের জন্য ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন