দুই ব্রোকারেজ হাউজের শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আলিফের মূলধন উত্তোলনের সম্মতিপত্র বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পর্ষদের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর ব্যাংক ও বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা বরাবর অনুরোধপত্র পাঠানো হবে। গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯২০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি পূরণের জন্য ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ ও পিএফআই সিকিউরিটিজের সময় বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এছাড়া দুই ব্রোকারেজ হাউজের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওর সব ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠানো, ওই ব্যক্তিদের সব বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

একই সঙ্গে ২০২২ সালের ২২ মার্চ ইস্যুকৃত কমিশনের নির্দেশনায় উল্লিখিত সব শর্ত পুনরায় আরোপ করা হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজের ঘাটতি পাওয়া গেলে তা সমন্বয় না করা পর্যন্ত ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর বিরুদ্ধে বিদ্যমান সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। পাশাপাশি ১৯৯৬ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স করে সেকশন ২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে সতিটি নির্দেশনা দেয় কমিশন।

নির্দেশনাগুলো হলো সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত করা, সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের মালিকানা শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্য লভ্যাংশ প্রদান স্থগিত, যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কোটা হিসাবে আইপিও, আরপিও ও কিউআইওর প্রাপ্য সুবিধা স্থগিত, সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত, নতুন শাখা বা বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত করা, সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর এসব ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ বিশেষ তদারক করবে। এছাড়া প্রতি মাসে দুবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে থাকা শেয়ার পরীক্ষা করা হবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে গতকাল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মোট ২০০ কোটি টাকার (শেয়ারপ্রতি মূল্য ২২ টাকা) মূলধন পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের কাছ থেকে উত্তোলনের জন্য সাবস্ক্রিপশনের সময় বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করেছে বিএসইসি। কোম্পানিটির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মূলধন উত্তোলন করতে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশনের আগের ইস্যুকৃত সম্মতিপত্রটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই দিন কমিশন সভায় বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসির দাখিলকৃত রয়েল বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট পরিচালিত আরবিআইএমসিও বিজিএফআই ফান্ড অবসায়নের ক্ষেত্রে প্রস্তাব বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন