ইসলামী ব্যাংক

হাজার কোটির বদলে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর বিষয়ে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ব্যাংকটি ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, গত ২৪ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ১ হাজার কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অবসায়নযোগ্য ও রূপান্তর অযোগ্য এ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে টায়ার টু মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করার কথা জানিয়েছিল ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দেয়ার সময় বন্ডের অর্থের পরিমাণ ৫০০ কোটি কমিয়ে ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) আয় হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৬ পয়সায়। 

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটি। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ২৪ পয়সায়। 

২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৯৮ পয়সা। ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৮২ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ টাকা ৮৯ পয়সা। 

২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটির পর্ষদ। ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ব্যাংকটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ৪৩ দশমিক ২২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪৯ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩২ টাকা ৬০ থেকে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন