বিসিবির সভাপতি হলেন ফারুক আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

টানা প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ ছাড়লেন নাজমুল হাসান। গতকাল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন তিনি। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে খোঁজ নেই নাজমুল হাসানের। ৫ আগস্টের পর থেকে বিসিবিতেও যাননি তিনি। এর মধ্যে গতকাল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা বসে। সেখানে মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগের কথা জানান নাজমুল হাসান।

নাজমুল হাসান ১৪তম সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেন ২০১২ সালের অক্টোবরে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার তাকে এ পদে মনোনয়ন দেয়। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে বোর্ড সভাপতি বাছাইয়ের নিয়ম করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এ নিয়ম চালুর পর ২০১৩ সালে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান। যদিও ওই নির্বাচনে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। ২০১৭ ও ২০২১ সালের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি সভাপতি হন তিনি। প্রায় এক যুগের দায়িত্বকালে আর্থিক অনিয়ম, ক্রিকেট প্রশাসনে অস্বচ্ছতা, সিন্ডিকেট গড়ে তোলা, অবকাঠামোর প্রত্যাশিত উন্নতি করতে না পারা, ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিতর্কিত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এর আগে সোমবার বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জালাল ইউনুস। গতকাল সভাপতি করার আগে জালাল ইউনুসের শূন্য পদে পরিচালক পদে মনোনয়ন দেয়া হয় ফারুক আহমেদকে। এরপর বোর্ড মিটিংয়ে অন্যান্য পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। 

ফারুক আহমেদের ক্রিকেট জীবনের ব্যাপ্তি প্রায় দেড় দশক। বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাতটি। সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। অবসরের পর জাতীয় দলের নির্বাচক ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন ফারুক আহমেদ। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান নেতৃত্বাধীন বোর্ডেও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু মতবিরোধসহ নানা কারণে ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন তিনি।

সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর বিসিবির ফেসবুক পেজে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ। দলকে একটা সম্মানজনক স্থানে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি লিখেছেন, ‘লক্ষ্য অনেক বড়। প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য দেশের সম্মান বৃদ্ধি। দেশের মুখ উজ্জ্বল করা। দলকে একটা জায়গায় দেখতে চাই। কীভাবে দেখব, সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। সুতরাং অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।’

নতুন সভাপতি আরো লিখেছেন, ‘অনেক দিন ধরে কাজ হয়েছে, হয় নাই, এসব নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমাদের প্রথম ও প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে যদি আমরা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। আমরা অন্যদিকে যেন সরে না যাই। সুতরাং বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ক্রিকেট সব মিলিয়েই এটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন