জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রতিবেদন

জনসংখ্যার সঙ্গে বসবাসের ঘনত্বও বেড়েছে বাগেরহাটে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বাগেরহাট

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বাগেরহাটে ১১ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে লাখ ৩৯ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বসবাসের ঘনত্বও বেড়েছে উপকূলবর্তী জেলায়। পরিসখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ৪০৭  জন। ২০১১ সালে যা ছিল ৩৭৩ জন। বৃহস্পতিবার ২০২২ সালের জনশুমারি গৃহগণনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরিসখ্যান ব্যুরো।

সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার। ২০১১ সালে যা ছিল ১৪ লাখ ৪৯ হাজার। ২০০১ সালের জরিপে জেলার জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৪৯ হাজার, ১৯৯১ সালে ছিল ১৪ লাখ ৩১ হাজার এবং ১৯৮১ সালে ১২ লাখ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০১১ সালে হার ছিল শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ পুরুষ ৫০ দশমিক ২৬ শতাংশ নারী। হিসাবে পুরুষের চেয়ে হাজার ৩৭৭ জন বেশি নারী রয়েছে। জেলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ১২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯০ জন গ্রামে বসবাস করে। মুসলিম রয়েছে মোট জনসংখ্যার ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। হিন্দু জনগোষ্ঠী ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রয়েছে মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক শতাংশ। খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যান্য শূন্য দশমিক শতাংশ।

জনশুমারির তথ্যমতে, জেলার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে মোরেলগঞ্জে। উপজেলার জনসংখ্যা লাখ হাজার ৮৬৫ জন। এর পরই রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলা; লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৩ জন। এছাড়াও শরণখোলায় লাখ ২০ হাজর ৯২০, কচুয়ায় লাখ হাজার ৪২৩, চিতলমারীতে রয়েছে লাখ ৫৩ হাজার ৩৩, ফকিরহাটে রয়েছে লাখ ৫৯ হাজার ১৯, মোল্লাহাটে লাখ ৪৪ হাজার ৬১৫ জন, রামপালে লাখ ৭৬ হাজার ৫৮ এবং মোংলার জনসংখ্যা লাখ ৫৮ হাজার ৪৭০ জন।

জেলার অর্ধেকের বেশি মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। শতাংশের হিসেবে কৃষি কাজে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি সেবা খাতে ৩৭ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ জড়িত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন