![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389209_1.jpg?t=1719876740)
![Default Image](https://bonikbarta.net/uploads/Sports.jpg)
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে
অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বৃষ্টি আইনের অদ্ভূত নিয়মের বলি
হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে তারা হারল ১৯ রানে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে
৪৫ ওভারে ইংল্যান্ড করল ৬ উইকেটে ২৫২ রান। প্রোটিয়াদের রান তাড়ার সময় ৪৩তম ওভারের শেষ
বলের আগে বৃষ্টি নামে। দলটির তখন লাগে ১৩ বলে ২২ রান। বৃষ্টিতে ২ ওভার হারায় প্রোটিয়ারা।
তখন ১ বলে প্রয়োজন পড়ে ২১ রান। ‘মোস্ট প্রোডাক্টিভ ওভারস’ (এমপিও) মেথডে এই টার্গেট
দেয়া হয়। যদিও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্কোরবোর্ডে ভুল দেখানো হয়। প্রথমে বলা হয়—৭
বলে ২২; এরপর দেখানো হয় ১ বলে ২২। আসলে এমপিও মেথডে হবে ১ বলে ২১ রান। যাই হোক, ক্রিকেট
ইতিহাসেরই এই বিতর্কিত নিয়মের বলি হয়ে বিদায় ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকার এবং তৃতীয়বারের মতো
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার
ফাইনালে এক ব্রায়ান লারার হাতেই শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা। লারা ৯৪ বলে ১১১ রানের ক্ল্যাসিক
ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৪ রানের পুঁজি গড়ে দেন। এই রান তাড়া করে ১৯ রানে হেরে
যায় প্রোটিয়ারা। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও ট্র্যাজিক বিদায় ঘটে প্রোটিয়াদের। অস্ট্রেলিয়ার
সঙ্গে সেমিফাইনালে ল্যান্স ক্লুজনার আর অ্যালান ডোনাল্ড দৌড়ে এক রান নিতে পারলেই
ফাইনাল। অথচ অদ্ভুতুড়ে এক দৌড় দিয়ে ডোনাল্ড দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেন, আর প্রোটিয়াদেরও
তীরে ওঠা হলো না। ম্যাচ ‘টাই’ হওয়ায় সুপার সিক্সে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালের টিকিট
পায় অস্ট্রেলিয়া। পরে চ্যাম্পিয়ন হলো অজিরাই।
২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে
আরেকবার বিষাদময় বিদায়! হিসেবের ভুলে শ্রীলংকার সঙ্গে জেতা ম্যাচটি টাই করে গ্রুপ পর্ব
থেকেই বিদায় নিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে
অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা।
এরপর ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে, ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে
নিউজিল্যান্ডের কাছে, ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের কাছে, ২০১৫
সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয়াদের ড্রেসিংরুমে উদযাপন চলছেই। ছবি: আইসিসি
গত বছর ১৬ নভেম্বর কলকাতায়
ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করার পর ৩ উইকেটে
হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই শোক ভুলে আরেকটি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে দলটি। আজ
ত্রিনিদাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে (৫৬) বিধ্বস্ত
করে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬০/১)।
সব মিলে বৈশ্বিক আসরে
মোট সাতবার সেমিফাইনালে পরাজিত দলটি অষ্টমবারের চেষ্টায় উঠেছে ফাইনালে। এটা যে তাদের
ক্রিকেট ইতিহাসের দায়মোচন। এবার কি ভাগ্যের শিঁকে ছিড়বে এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেনদের?
এবার খালি হাতে ফিরতে
চায় না প্রোটিয়ারা। দলটির স্পিনার তাবরাইজ শামসি জয় শেষে বলেন, ‘এটা বড় এক অর্জন। কিন্তু
আমরা কিন্তু শুধু ফাইনালে ওঠার জন্যই এখানে আসিনি। আমরা এখানে এসেছি ফাইনাল জেতার জন্য।’