মহামারী-পূর্ব অবস্থার তুলনায় চীন ও উত্তর আমেরিকার মধ্যকার নির্ধারিত ফ্লাইটের মাত্র ২০ শতাংশ পুনরুদ্ধার হয়েছে। যদিও অন্যান্য রুটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুনরুদ্ধার হয়েছে চীনা ফ্লাইট। চীন-উত্তর আমেরিকা রুটের ফ্লাইটের সংখ্যা পুনরুদ্ধারে মার্কিন-চীন দীর্ঘায়িত উত্তেজনা, বেইজিংয়ের ভিসা নীতিসংক্রান্ত কারণ প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।
মহামারী-পূর্ব সময়ে মার্কিন ও চীনা এয়ারলাইনসগুলো দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহে ১৫০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। তবে কভিড-১৯ আঘাত হানার পর ২০২০ সালের জুনে এ সংখ্যা নেমে আসে সপ্তাহে চারে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শূন্য-কভিড নিয়ন্ত্রণ নীতি শিথিল করে চীন। তার পরও উত্তর আমেরিকার রুটগুলোয় এখনো ফ্লাইটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারেনি দেশটির এয়ারলাইনসগুলো।
চীনের শেনওয়ান হংওয়ান সিকিউরিটিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সামার-ফল সময়ে পরিচালিত ফ্লাইটগুলো ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮০ শতাংশ পুনরুদ্ধার হয়েছে।
এর
মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার
রুটগুলোয় ২০১৯ সালের তুলনায় ফ্লাইট পুনরুদ্ধার হয়েছে ৯০ শতাংশ এবং
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের ফ্লাইটগুলো
পুনরুদ্ধার হয়েছে ৮০ শতাংশ। তবে
উত্তর আমেরিকার রুটগুলোয় ২০১৯ সালের স্তরের মাত্র ২০ শতাংশ পুনরুদ্ধার
সম্ভব হয়েছে।