ছয় মাসেই উৎপাদন বন্ধ স্পাইসড কোকা-কোলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

তরুণ ভোক্তাদের লক্ষ্য করে গত ফেব্রুয়ারিতে স্পাইসি ফ্লেভার উল্লেখ করে নতুন পানীয় এনেছিল কোকা-কোলা। কিন্তু ক্রেতা আকর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছয় মাসের মাথায় এর উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে কোম্পানিটি। খবর সিএনএন। 

এক বিবৃতিতে কোমল পানীয় জায়ান্টটি বলছে, কোকা-কোলা সবসময় গ্রাহকদের পছন্দকে গুরুত্ব দেয় এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী স্বাদে পরিবর্তন আনে। এর অংশ হিসেবে আমরা ‘কোকা-কোলা স্পাইসড’ বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি। আগামী বছর নতুন ফ্লেভার বাজারে আনা পরিকল্পনা করছি। 

অবশ্য বাজারে আনার শুরুতে কোকা-কোলা একে স্থায়ী ফ্লেভার হিসেবে প্রচার করেছিল। এখন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার খবরে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। বাজারসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, অপর্যাপ্ত বিপণন এবং স্বাদ নিয়ে তৈরি বিভ্রান্তির কারণে নতুন ফ্লেভারটি ততটা সাড়া পায়নি। এমন বলা হচ্ছে, নামে স্পাইস হলেও এটি আসলে ঝাল স্বাদের ছিল না।

জেন-জিদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্লেভারটি তৈরি করা হয়েছিল। পানীয়টিতে কোকের স্বাদের সঙ্গে র‍্যাস্পবেরির মিশ্রণ যোগ করা হয়েছিল।

কোকা-কোলা গত কয়েক বছরে নিয়মিতভাবে তাদের পণ্যতালিকা হালনাগাদ করেছে। ড্রিমওয়ার্ল্ড, স্টারলাইট ও বাইট ফ্লেভারের পানীয় অল্প সময়ের জন্য বাজারে এনেছিল কোম্পানিটি। এসব পানীয় পরীক্ষামূলকভাবে উন্মোচনের মাধ্যমে তরুণ ভোক্তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। 

কোকা-কোলা স্পাইসডকে কোম্পানির মূল পণ্যগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, ‘মশলাযুক্ত পানীয়ের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ছে’ এবং র‍্যাস্পবেরি ফ্লেভার ২০২২ সালে বেশির ভাগ গ্রাহক পছন্দ করেছিলেন। কোকা-কোলার বিপণন বিভাগের উত্তর আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট সু লিন চা জানিয়েছেন, কোম্পানি নতুন পানীয় তৈরিতে প্রায়ই জরিপের সাহায্য নেয়। 

কোকা-কোলা পৃথক ফ্লেভারের বিক্রয় তথ্য প্রকাশ করে না। সাম্প্রতিক আয় বিবরণীতেও নতুন পানীয়টির বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোকা-কোলার নিট আয় ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু উত্তর আমেরিকায় স্পাইসড বিক্রি ১ শতাংশ কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন