অর্থ পাচারের অভিযোগ

৬৪ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ ইউএইয়ে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

অর্থ পাচার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে ২০২৩ সালে বেশকিছু সম্পদ জব্দ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আর্থিক পরিমাণ ২৩০ কোটি ৪৮ লাখ দিরহাম বা ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

সম্প্রতি তথ্য জানান দেশটির অর্থপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা এনএএমএলসিএফটিসির মহাসচিব হামিদ আল জাবি।

জ্বালানি তেল থেকে নির্ভরতা কমাতে কয়েক দশক ধরে বৈচিত্র্যপূর্ণ খাতে স্থানীয় বিদেশী ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করছে ইউএই। কারণে দুবাই, আবুধাবির মতো শহরগুলো দিচ্ছে নীতি সুবিধা। এর উল্টো পিঠে ইউএইর প্রধান অঞ্চলগুলো হয়ে উঠেছে অর্থ পাচারের অন্যতম গন্তব্য।

হামিদ আল জাবি জানান, গত বছর অর্থ পাচার সম্পর্কিত ঘটনায় ইউএইর আরোপ করা জরিমানার পরিমাণ ছিল কোটি ৯০ লাখ ডলার। অন্যদিকে জব্দ সম্পদের মূল্য ছিল ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

তিনি বলেন, ‘ সময় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মাঠ পর্যায়ে ১১৫টির বেশি ঘটনা তদন্ত করেছে। বাবদ জরিমানা আদায় হয়েছে কোটি ১০ লাখ ডলার। অন্যদিকে হাজার ৩৭১টি পরিদর্শনের পর অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে।

অর্থ পাচারের মতো বেআইনি লেনদেনে স্বর্ণ  পরিশোধন খাতের সম্পর্ক পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদন। ২০২১ সালের ধরনের ২২৩টি সন্দেহজনক কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৩২টিতে, যা উচ্চতর সচেতনতা সতর্কতা নির্দেশ করে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগের বছরের তুলনায় আরব আমিরাতে ২০২৩ সালে স্বর্ণ খাতে অপরাধমূলক ঘটনায় তদন্ত প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে। এসব ঘটনায় কোটি ১০ লাখ জরিমানা করা হয়েছে।

গত মাসে দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থানীয় ৩২টি স্বর্ণ পরিশোধনাগারের কার্যক্রম স্থগিত করেছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারবিরোধী আইন না মানার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ২৫৬টি অভিযোগে এসব পরিশোধানাগারকে শাস্তি পেতে হয়।

এনএএমএলসিএফটিসির মহাসচিব আরো জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে একাধিক পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে আরব আমিরাত। এরই মধ্যে ৪৫টি আইনি সহযোগিতামূলক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া ২০২৪ ২০২৫ সালের মধ্যে আরো কিছু সমঝোতায় স্বাক্ষর করবে দেশটি। তবে কাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে বা করবে, বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন