ভালো দামে পুরনো স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষণীয়

আবিদ মঈন খান

সূত্র: মেক ইউজ অব

পুরনো স্মার্টফোনের বিক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ডিভাইস কোন কোম্পানির, এর বর্তমান অবস্থা কেমন, কতদিন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়গুলো রয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মাথায় রাখলে কোনো স্মার্টফোন বিক্রির জন্য সঠিক দাম নির্ধারণ সহজ হয়। এমন সাতটি বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলো—

ফোনের ব্র্যান্ড ভ্যালু: অ্যাপল, গুগল ও স্যামসাংয়ের মতো পরিচিত ব্র্যান্ডগুলো তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স ও হাই কোয়ালিটি বিল্ডের জন্য পরিচিত। এজন্যই এসব কোম্পানির স্মার্টফোন পুরনো বা সেকেন্ড হ্যান্ড বাজারে ক্রেতার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। অন্যদিকে কম পরিচিত ব্র্যান্ডের ফোনগুলোর দাম প্রায়ই কম পাওয়া যায়। 

ডিভাইসের কন্ডিশন ও ব্যবহারের বয়স: স্ক্র্যাচ, ডেন্ট বা দৃশ্যমান কোনো ক্ষতি ছাড়াই সাবধানে ব্যবহার করা একটি ফোনের চাহিদা সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইসের  বাজারে শীর্ষে থাকে। মূলত ভালো কন্ডিশনে থাকা ফোনগুলো ক্রেতার মধ্যে আস্থা জাগিয়ে তোলে। ফলে এসব ফোন ভালো দামে বিক্রির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এর বিপরীতে দৃশ্যমান ক্ষতিগ্রস্ত ফোনে মেরামত ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয় ক্রেতারা এ ধরনের ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হন। এছাড়া সাধারণত নতুন স্মার্টফোনগুলোয় ফিচারসহ বর্ধিত সফটওয়্যার সাপোর্ট থাকে। এজন্য একটি ফোন কতদিন ব্যবহার হয়েছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

ফোন রিপেয়ার করা কিনা: যেসব ফোন মেরামতের জন্য কখনো খোলা হয়নি— এমন ফোনগুলো ক্রেতাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। কারণ এ থেকে বোঝা যায় ফোনটি যত্নসহকারে ব্যবহার হয়েছে এবং কোনো লুকানো সমস্যা নেই। এটি ফোন পুনরায় বিক্রির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম দাম পেতে বড় ভূমিকা রেখে থাকে।

অরিজিনাল অ্যাকসেসরিজ: স্মার্টফোন বিক্রির সময় অফিশিয়াল বক্সের সঙ্গে আসা চার্জার, ইয়ারফোনের মতো অন্যান্য অরিজিনাল অ্যাকসেসরিজ ফোন পুনরায় বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে। ক্রেতারা স্মার্টফোন কেনার সময় অতিরিক্ত অ্যাকসেসরিজ কেনার অতিরিক্ত ব্যয় এড়াতে চান। তাই স্মার্টফোনের সঙ্গে অরিজিনাল অ্যাকসেসরিজ না থাকলে সামগ্রিকভাবে ফোনের সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রি মূল্য কমে যায়।

ওয়ারেন্টি: বিক্রির ক্ষেত্রে ফোনে কোম্পানির দেয়া ওয়ারেন্টি থাকলে ভালো দাম পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ক্রেতারা সম্ভাব্য ত্রুটি ও সমস্যা সম্পর্কে খুব বেশি চিন্তা করেন না। ঝুঁকি কম থাকায় পুনরায় বিক্রির বাজারে এসব ফোনের দাম বেড়ে যায়। 

ব্যাটারির অবস্থা: পুরনো ফোন বিক্রির বাজারে হাই ব্যাটারি ক্যাপাসিটির ফোনের চাহিদা ক্রেতার মধ্যে বেশি। ক্রেতারা এক চার্জে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ ও ভালো মানের ব্যাটারি লাইফস্প্যানসহ একটি ফোন কিনতে চান। তাই এটি ফোনের দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যাটারি হেলথ কমে আসা ফোনে প্রতি ক্রেতার বেশি আগ্রহ থাকে না। এর ফলেই পুনরায় বিক্রির ক্ষেত্রে ফোনের দাম কমে যায়।

বিক্রির মাধ্যম বা প্লাটফর্ম: কোথায় বা কোন প্লাটফর্মে স্মার্টফোনটি বিক্রি হচ্ছে সেটিও দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পুরনো ব্যবহৃত ফোন কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম বেছে নেয়া উচিত। যেহেতু এ ধরনের প্লাটফর্মগুলো কঠোর নীতি অনুসরণ করে প্রায়ই এখানে উচ্চ দামে বিক্রি করা যায়। এরই সঙ্গে ক্রেতারাও এসব প্লাটফর্মের পণ্যের ওপর আস্থা রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন