সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: পিআইডি

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা ছিল গত সোমবার। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করেছেন।

নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকে যান কবরস্থানে। চির বিদায় নেয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এ আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানিয়েছেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

এবার হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেন। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী নারীরাও।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর গোলারটেক মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা এ জামাতে অংশ নেন।

এবারো কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় শুরু হয় এ ঈদ জামাত। ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

প্রতি বছরের মতো এবারো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সরকারি সংস্থাগুলোর প্রধানরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো যথাযোগ্য গুরুত্বসহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোয় যথাযথভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন