আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমাতে পারে এমন প্রত্যাশা গতকাল স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। খবর রয়টার্স।

স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩২ ডলার শূন্য ৯ আউন্সে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৪৬ ডলার ৮০ সেন্টে স্থিতিশীল ছিল।

সিএমই ফেডওয়াচ টুলের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমানোর সম্ভাবনাকে কিছুটা বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করেছে। আগের দিনই এ সম্ভাবনার মাত্রা ৬১ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

স্পট মার্কেটে রুপার দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ ডলার ৫৪ সেন্টে। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি মূল্য ৯৭৮ ডলার ৯৯ সেন্ট হয়েছে। স্পট মার্কেটে গতকাল প্যালাডিয়ামের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০২ ডলার ২০ সেন্টে। 

এদিকে স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া উত্তোলক কোম্পানিগুলোর জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ কোম্পানিগুলো স্বর্ণের উত্তোলন বৃদ্ধি বজায় রাখতে পারছে না। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।

ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত বছর খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলন এর আগের বছরের তুলনায় মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ২০২২ সালে এটি ১ দশমিক ৩৫ ও ২০২১ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল।

এ বিষয়ে ডব্লিউজিসি চিফ মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট জন রিড বলেন, ‘‌চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলন ৪ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৮ সালের পর থেকে খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের বিশেষ কোনো প্রবৃদ্ধি চোখে পড়েনি।’

রিড আরো বলেন, ‘‌বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের নতুন খনি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে অনেক সম্ভাব্য এলাকা অন্বেষণ করা হয়েছে। তবে বৃহৎ আকারের স্বর্ণের খনি খুঁজে পেতে উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধান ও উন্নয়ন প্রয়োজন। এছাড়া কোনো খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে গড়ে ১০-২০ বছর সময় প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে খনি কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি লাইসেন্স ও অনুমতি পেতেও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।’

আরো জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় অনেক খনির প্রকল্পের জন্য রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির মতো অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন। কিন্তু খনি অনুসন্ধানের জন্য অনুমতি, অর্থায়ন ও পরিচালনা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন