ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাই ভাঙা

এমএ সামাদ, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের ঢালাই উঠে গর্তে পরিণত হয়েছে ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৭ সালে। টেকসই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পৌরসভাটির ভিশন হলেও বাস্তবে তার মিল নেই। পৌরসভার অধীনে ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ কিলোমিটার পাকা হলেও বাকি ৪৩ শতাংশ রাস্তাই কাঁচা। আবার ৮৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তার অধিকাংশই ভাঙা। ঢালাই উঠে এসব সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

পৌরসভার নাগরিকরা বলছেন, শুধু রাস্তা নয় বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত ড্রেনেজসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে পৌরসভায়। রাস্তা ভাঙা থাকায় যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন গাড়িচালক ও পথচারীরা। পৌরসভা সব ধরনের কর, ট্যাক্স নিলেও জনগণের ভোগান্তি কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না।

পৌর নাগরিক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে ১৯৯৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থা বাস্তবায়ন পৌরসভার ভিশন হলেও বাস্তবে তার মিল নেই। বেহাল সড়ক, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত ড্রেনেজসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত পৌরসভাটি।

পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হলেও প্রায় ৮০ শতাংশই ভাঙা। শহরের চৌরাস্তা থেকে কালিবাড়ী হয়ে সত্যপীর সেতু এবং চৌরাস্তার উত্তরে নরেশ চৌহান সড়ক থেকে শুরু করে সেনুয়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনের সড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনের সড়ক, হাজীপাড়া, আশ্রমপাড়া, শাহাপাড়া, ঘোষপাড়া, গোয়ালপাড়া, নিশ্চিন্তপুরসহ বেশ কয়েকটি মহল্লার প্রধান সড়কগুলোর অবস্থাও বেহাল। সড়কগুলোর ঢালাই উঠে যাওয়ায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে সড়কের পাশে জমে থাকে পানি।

স্কুলশিক্ষক মাসেকিন জান্নাত বলেন, ‘প্রতিদিন রিকশায় করে স্কুলে যেতে হয়। রাস্তার অনেক জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে সেখানে পানিও জমে গেছে। অনেক সময় রিকশা থেকে পড়ার উপক্রম হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে পৌরসভার উদ্যোগ নেয়া উচিত।’

স্থানীয় বাসিন্দা সত্য প্রসাদ ঘোষ নন্দন বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে বের হতে হয়। অথচ অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এমনকি হেঁটে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না৷। পৌরসভা সব ধরনের কর, ট্যাক্স নিলেও আমাদের ভোগান্তি চোখে দেখে না।’

পৌরসভা কার্যালয়ের সূত্রমতে, পৌরসভায় ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে পাকা করা হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার। কাঁচা রয়েছে ৫০ কিলোমিটার।

এ ব্যাপারে ঠকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কয়েকটি সড়কে পিচ উঠে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঈদের পর সেগুলো সংস্কার করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন