বাংলাদেশ ০-১ ফিলিস্তিন

শেষ মুহূর্তের গোলে ফিলিস্তিনের কাছে হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছবি: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন

২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের মাঠে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। আজ ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফিরতি লেগে জয়ের আশা নিয়ে নেমেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে যায় স্বাগতিকরা। মিশেল তেরমানিনির গোলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেয় ফিলিস্তিন।

 

নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর ৮ মিনিটের ইনজুরি টাইমের খেলায় হেরে যায় বাংলাদেশ। ৯৪ মিনিটে সতীর্থ ইসলাম বারতানির হেড থেকে বল পেয়ে দারুণ এক প্লেসিং শটে ফিলিস্তিনের জয়সূচক গোলটি করেন তেরমানিনি।    

 

অবিশ্বাস্য দক্ষতায় আজ একাধিক গোল সেভ করেছেন গোলকিপার মিতুল মারমা। বিশেষকরে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে, ৬৫ মিনিটে ও ৭৪ মিনিটে অনবদ্য কিছু সেভ করেন তিনি। ৮৪ মিনিটে মিতুল মারমা মারাত্মক চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে হয়। মিতুলের জায়গায় নামা গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবন শেষ ৬ (সেই সঙ্গে ইনজুরি টাইম) মিনিটের চ্যালেঞ্জে হেরে গেলেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেন তিনি।

 

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলের হার দিয়ে ‘আই’ গ্রুপে সূচনা করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে লেবাননের সঙ্গে ড্র করে এক পয়েন্ট পায় কাবরেরার দল। তৃতীয় ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে বড় হারে আবার হোঁচট। সেখান থেকে আজ ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। যদিও তীরে এসে তরী ডুবল রাকিব-সোহেল রানাদের।

 

কিংস অ্যারেনায় এর আগে চার ম্যাচ খেলে কোনোটিতে হারেনি বাংলাদেশ। একটি জয় ও তিনটি ড্রয়ের তৃপ্তি ছিল এই আঙিনায়। এবার কিংস অ্যারেনায় হারল স্বাগতিকরা।

 

এদিকে, আজ লেবাননকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশকে হারিয়ে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফিলিস্তিন দুইয়ে। ৪ ম্যাচ থেকে লেবাননের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট, বাংলাদেশের ১। আজ জিততে পারলে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের সমান পয়েন্ট হয়ে যেত। উল্টো ফিলিস্তিন এখন তৃতীয় রাউন্ডের কাছাকাছি।  

 

গ্রুপটি থেকে শীর্ষ দুই দল উঠবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে, সেই সঙ্গে নিশ্চিত করবে এশিয়ান কাপের টিকিটও। আর তলানির দুই দল খেলবে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডে।

 

তৃতীয় রাউন্ডে ১৮টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। সেখান থেকে ৬টি দল সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এরপর প্রতি গ্রুপের তিন ও চার নম্বর দল উঠবে চতুর্থ রাউন্ডে। তারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। এই দুটি গ্রুপ থেকে দুটি দল যাবে বিশ্বকাপে। এশিয়া অঞ্চল (এএফসি) থেকে এভাবে আটটি দল সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এরপর আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে আরেকটি টিকিট পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

 

২০২৬ সালে বিশ্বকাপ আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। এই আসরে প্রথমবারের মতো মোট ৪৮টি দল অংশ নেবে।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন