এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধার দিক থেকে এমটিবির ক্রেডিট কার্ড অনন্য

ছবি : বণিক বার্তা

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ক্রেডিট কার্ড কেন স্বতন্ত্র?

দেশের অন্য ব্যাংকগুলোর মতো এমটিবি তার গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট; ইএমআই; দেশের স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে একটি কিনলে একটি, দুটি ও তিনটি ফ্রি বুফেসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসে, কেন গ্রাহকরা এমটিবির কার্ডকে অধিক শ্রেয় মনে করবে? আমাদের প্রথম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো এমটিবি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা। বর্তমানে এমটিবির ঢাকায় তিনটি লাউঞ্জ এবং চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, সৈয়দপুর ও যশোরে একটি করে মোট আটটি লাউঞ্জ আছে। এছাড়া বিশ্বের ১ হাজার ১০০টিরও বেশি এয়ারপোর্টে লাউঞ্জ সুবিধা মিলছে এমটিবির ক্রেডিট কার্ডে।

আমাদের দ্বিতীয় স্বতন্ত্র দিক হলো এমটিবি গ্রাহকরা ঢাকার মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া-আসার জন্য কমপ্লিমেন্টারি পিক অ্যান্ড ড্রপ সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া এমটিবির রয়েছে অনলাইন লয়্যালটি প্রোগ্রাম এমরিওয়ার্ডজ, যা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহককে পুরস্কৃত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমটিবির স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা—কার্ড অ্যাক্টিভেশন, ব্লক, বিল পেমেন্ট উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া চিপ-পিন কার্ডটিতে ইএমভি প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে গ্রাহকরা কার্ডের নিরাপত্তা সুরক্ষার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকতে পারেন।

গ্রাহকদের কত ধরনের ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছেন?

এমটিবি তার গ্রাহকদের ভিসা, মাস্টারকার্ড ও ইউনিয়ন পে ব্র্যান্ডের কার্ড দিচ্ছে। আমাদের কার্ডগুলোর শ্রেণী হলো ক্ল্যাসিক, গোল্ড, প্লাটিনাম, টাইটেনিয়াম, সিগনেচার ও ওয়ার্ল্ড। সামর্থ্যবান সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য আমরা ক্রেডিট কার্ডের প্যাকেজগুলো সাজিয়েছি। 

এর মধ্যে জনপ্রিয়তা বেশি কোনটির?

এমটিবির ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে ভিসা-সিগনেচার ও মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ড সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। দেশের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে এমটিবির ক্রেডিট কার্ড থাকছে গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য বন্ধুর ভূমিকায়।

দেশের অর্থনীতির আকার ও জনসংখ্যার বিচারে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা খুবই কম। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

উন্নত বিশ্বে বহু আগে থেকেই ক্রেডিট কার্ড মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশে এখনো এটি সেভাবে বিস্তৃত হয়নি। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের সার্টিফিকেট জমাদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু ও বাজার সম্প্রসারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ক্রেডিট কার্ডকে কীভাবে আরো সহজলভ্য করা যায় বলে আপনি মনে করেন? 

ব্যক্তিগত ঋণের মতো ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেও যদি ৫ লাখ টাকা লিমিট পর্যন্ত ট্যাক্স রিটার্ন প্রদান মওকুফ করা হয়, তাহলে ক্রেডিট কার্ড দিতে ব্যাংকের জন্য সহজ হবে।

এমটিবির ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা কী? 

বর্তমানে এমটিবির ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকসংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। এসব কার্ডের বিপরীতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ স্থিতি রয়েছে। ভবিষ্যতে গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। এমটিবি বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড ইস্যু করে। এ ধরনের কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিশেষ ছাড় ও সুবিধা পায়। এছাড়া ডিজিটাল প্লাটফর্মে রেফারেন্স সংগ্রহের মাধ্যমেও আমরা আমাদের গ্রাহকসংখ্যা বাড়াচ্ছি। 

রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন? 

ঈদুল ফিতর বাংলাদেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। সারা বছরই বিশেষ এ দিনটিকে ঘিরে মানুষের নানা রকম পরিকল্পনা থাকে। এ পরিকল্পনার একটি বড় অংশই হলো ঈদের কেনাকাটা। এবারের ঈদে এমটিবি বেশকিছু আকর্ষণীয় অফার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড যেমন আড়ং, বাটা, এপেক্স, ইয়োলোয় কেনাকাটায় ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। প্রথম সারির গ্রোসারি স্টোর—ডেইলি শপিং ও স্বপ্নে প্রতি শুক্র ও শনিবারের কেনাকাটায় আমাদের গ্রাহক পাচ্ছেন প্রতি ১০০ টাকায় ১০ এমরিওয়ার্ডজ পয়েন্ট।

এছাড়া ঈদে এমটিবি দিচ্ছে ৪৫০টিরও বেশি অফলাইন এবং অনলাইন মার্চেন্টে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট। অফারগুলোর মধ্যে রয়েছে নামিদামি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড, ফ্যাশন আউটলেট, জুয়েলারি শপ, রেস্টুরেন্ট, সুপারমার্কেট, ভ্রমণ ও হোটেল পার্টনার। আর রমজানে এমটিবি কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা ইফতার ও সাহরিতে তার পছন্দের সব হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কমপ্লিমেন্টারি কম্পানিয়ান ডাইনিং অফার উপভোগ করতে পারছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন