কোটি মানুষের জীবনকে রঙিন করতে কাজ করছে নগদ

ছবি : বণিক বার্তা

নগদ বিশ্বাস করে, তার প্রধান কাজ হচ্ছে আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন। সাধারণ মানুষের লেনদেনকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে তোলা। সে জন্য আমরা যত বেশি সম্ভব ডিজিটাল লেনদেনে মানুষকে অভ্যস্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে উৎসব পার্বণকেই আমরা উপলক্ষ করি। এবার যেমন গত কয়েক বছরের মতোই ঈদের আগে দেশের সবচেয়ে বড় গ্রাহক ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে নগদ। আমরা সাড়ে নয় কোটি গ্রাহকের সামনে ঢাকায় এক টুকরো জমি জেতার সুযোগ নিয়ে এসেছি। এ বিশাল অফারে এছাড়া বাইক, টিভি, ফ্রিজ, এসি, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ ২০ কোটি টাকার উপহার জেতার সুযোগ থাকছে।

আমাদের এ ধরনের মেগা ক্যাম্পেইনের প্রধান লক্ষ্য থাকে মানুষকে আরো বেশি ডিজিটাল লেনদেনে প্রণোদনা দেয়া। একটি জমি বা বিএমডব্লিউ গাড়ি যখন উপহার হিসেবে সামনে থাকে, তখন আরো আরো বেশি মানুষ ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহ বোধ করে। বাজারে নগদের মার্কেট শেয়ার অন্তত ৩৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের মধ্যে এত বড় অর্জনের এ ক্রেডিটটা আমরা গ্রাহককে দিতে চাই। কারণ তারা চায় বলেই নগদ এতদূর আসতে পেরেছে। 

আমি বিশ্বাস করি, দেশজুড়ে নগদের সব গ্রাহক মিলে আমরা একটা বড় পরিবার। এ পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যেন উৎসবে মেতে উঠতে পারে, সেটা চাওয়া থাকে আমাদের। তাই কয়েক বছর ধরেই দেশের গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ উৎসবের অফারটা নগদই নিয়ে আসছে। গত বছর আমরা বিএমডব্লিউ গাড়িসহ কয়েকটি সেডান গাড়ি, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ অনেক অনেক উপহারের ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকায় একটা জমি জিতে নেয়ার সুযোগ নিয়ে এসেছি। আমাদের অফারটা খুব সহজ। এক দুই তিন—ঢাকায় জমি জিতে নিন। এখানে গ্রাহককে মূলত তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত নগদে কমপক্ষে ৫০০ টাকার লেনদেন অথবা ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ কিংবা ১০০০ টাকা ব্যাংক থেকে অ্যাড মানি করতে হবে। তাহলে তিনি এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। এরপর এমন তিন গ্রাহক মিলে দল বানাতে হবে। পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে নগদে যেকোনো প্রকার লেনদেন করলেই থাকছে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ।

মানুষের এখন বড় একটা স্বপ্ন হচ্ছে, তার নিজের এক টুকরো জমি থাকবে। এ স্বপ্নকে সত্যি করতে চাই আমরা। আর সে কাজটা করতে চাই ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে। আমরা চাই মানুষ এ জমি জেতার ব্যাপারটাকে একটা উৎসব হিসেবে নেবে। আর এভাবেই সাধারণ মানুষকে আরো বেশি ডিজিটাল প্লাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছি আমরা। একইভাবে এ খাতে আমরা নেতৃত্বের জায়গায় চলে এসেছি। এখানে বলে রাখা ভালো যে, এবার কিন্তু একজন নয়, ২৪ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া থাকছে কেনাকাটায় ১০০% ক্যাশব্যাক, রিচার্জে ক্যাশব্যাকসহ আরো নানা সুবিধা। এখানে মূলত আমরা গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখেছি। আমরা চেয়েছি গ্রাহক যেন অফার বা ক্যাম্পেইনে নিজের পছন্দের বা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটাই পায়।

আমার বিশ্বাস দেশের সব এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস), সব ব্যাংক, সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান—সবাই মিলেই স্মার্ট অর্থনীতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে উদ্ভাবনে কিন্তু আমরাই থাকি এগিয়ে। নগদকে বলতে পারেন সেখানে পথপ্রদর্শক, আর্থিক খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে তো অবশ্যই। আমাদের যত মার্চেন্ট আছেন, যত বিভিন্ন ব্যবসায়ী আছেন, যত ডিজিটাল লেনদেনের প্রতিষ্ঠান আছে—সবাই মিলেই আমরা এ কাজ করছি। নগদকে এখানে একটা ট্রেন্ড সেটার বলতে পারেন।

নগদ এরই মধ্যে বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব করেছে। দেশে প্রথম ই-কেওয়াইসির প্রচলন করা এবং এরপর *১৬৭# ডায়াল করে মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলার প্রক্রিয়া করেছি আমরা। অথচ শুধু একটা অ্যাকাউন্ট খুলতেই কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেত। একের পর এক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে নগদ এমএফএস আজ ৯ কোটির ওপরে গ্রাহকের পরিবার। আমরা এটাকে একটা শুরু বলতে চাই। 

সামনে নগদের ডিজিটাল ব্যাংক আসছে। আরো অনেক অনেক উদ্ভাবনী, চমক লাগানো এবং অতিনিরাপদ সেবা নিয়ে মানুষের সামনে আসবে নগদ। পাঁচ বছর ধরে মানুষ যেভাবে নিজের প্রতিষ্ঠানের মতো করে নগদের পাশে থেকেছে, আমার বিশ্বাস সেভাবেই তারা নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আর ডিজিটাল ব্যাংক যখন চালু হবে তখন এটি হবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে মূলধারায় যুক্ত করবে। মুদি দোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক বড় লেনদেন সবকিছুই এ মাধ্যমে হবে। এর জন্য আমি মনে করি তিনটি পক্ষই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রথম পক্ষ সরকার এরই মধ্যে ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লেনদেনকে ক্যাশলেস করার ঘোষণা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু গ্রাহকই পারে এ লেনদেনকে সবখানে পৌঁছে দিতে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন যখন বাস্তবায়িত হয়েছে তখন মানুষ সেটাকে সহজেই আয়ত্ত করেছে। তেমনি আমরা বিশ্বাস করি স্মার্ট বাংলাদেশের পথচলায় গ্রাহকরাই ক্যাশলেস লেনদেনের পথ সুগম করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন