সাত বছরে রাশিয়ায় কফির দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। চলতি সপ্তাহে এমন তথ্য উঠে এসেছে দেশটির অন্যতম প্রধান আর্থিক ডেটা ফার্ম ওএফডি প্ল্যাটফর্মের গবেষণায়। তাতে বলা হয়েছে, সাত বছর আগে এক কাপ কফি খেতে গেলে যত দাম দিতে হত, এখন গুণতে হয় তার দ্বিগুণেরও বেশি। খবর আরবিকে নিউজ।
গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ওএফডির ডাটা সিস্টেমের ৯ হাজার কোটি কফি শপ ও মুদি দোকানের রশিদের উপর ভিত্তি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে কফির দাম ২০২২ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০১৬ সালের তুলনায় দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ। চলতি আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ১৫০-২০০ মিলির এক কাপ কফির গড় মূল্য হয়েছে ১৬৬ রুবেল বা ১ ডলার ৭০ সেন্ট।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের আগে কফির দাম বেড়েছে মন্থর গতিতে। তবে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে পানীয়টির দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকে।
ওএফডি প্ল্যাটফর্মের সিইও আলেক্সি বারভ বলেন, ২০২০ সালে দামে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। করোনভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ায় বছরটি ছিল ক্যাটারিং শিল্পের জন্য চরম দুঃসময়। নাটকীয়ভাবে গ্রাহক সংখ্যা কমে যাওয়ায় কাপপ্রতি কফির দাম ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দোকান ভাড়া ছাড়াও কফি বিনের খরচ, দুধ, কর্মচারীর বেতন, গ্যাস-বিদ্যুতের মত পরিষেবা বিলসহ অন্যান্য সম্পর্কিত খরচ বেড়ে যায়। এর ফলে প্রতি কাপ কফি খেতে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় ভোক্তাদের।
২০২১ ও ২০২২ সাল জুড়ে মূল্যবৃদ্ধির জন্য বারোভ বিভিন্ন কারণকে দায়ী করেছেন। প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলোতে কফির ফলন কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী কফির দাম বেড়েছে। এটিকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কিছু রুশ এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। এসব সম্মিলিত কারণে ২০২২ সালে এক কাপ কফির গড় দাম ৬১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।