সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিবাদী সমাবেশ

নিরপেক্ষ তদন্ত ও নিহতের সংখ্যা প্রকাশের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জাতিসংঘের অধীনে এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চাই। প্রতিটি গুলিবিদ্ধ দেহের বিপরীতে জবাব চাই।’ 

রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ সমাবেশ আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা সেখানে বক্তব্য দেন। সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই’।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগ, ছাত্রদল কাদের সৃষ্টি? এই নষ্ট রাজনীতি বন্ধ চাই। সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হোক। আর একটা গুলিও যেন না হয়।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘যেসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, হত্যার শিকার হয়েছে কেবল স্থাপনা, মানুষের প্রাণহানি হয়নি।’ এ আন্দোলন ঘিরে যাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি। 

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের ওপর গুলি চলেছে, কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু সরকারের বক্তব্য শুনে মনে হবে, শুধু রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে তথ্য গোপন করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য জানতে চাই।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিবর্তনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও আশরাফ কায়সার উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে চলে প্রতিবাদী গান ও কবিতা। সমগীত, বটতলা, বিবর্তন, চারণ শিল্পীগোষ্ঠী, উত্তরসূরিসহ দেশের ৩১টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এ সমাবেশে অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন