এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্কিন অর্থনীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদহারের চাপের মধ্যে প্রবৃদ্ধির এ হারকে সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দেশটির ভোক্তা ও ব্যবসায়িক খাতগুলো দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি  সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে। খবর এপি। 

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের প্রতিবেদনে দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি তুলে ধরা হয়। এর আগে প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় জিডিপি বাড়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। বছর শুরুতে অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, চলতি বছর দেশটির জিডিপি ১ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে। সে হিসেবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, তবে ফেডারেল রিজার্ভের ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রায় এখনো আসেনি। তবে মূল্যস্ফীতি যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যপূরণের অনুকূলে ছিল তা বলা যায়। কারণ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থেকে কমে দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক প্রান্তিকজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দামে অস্থিরতা বিরাজ করছেন। এ দুই খাত বাদ দিয়ে ব্যক্তি খাতে ভোগ ব্যয় (পিসিই) সংক্রান্ত মুদ্রাস্ফীতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।

প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যে চিত্র উঠে এসেছে তা হলো, মার্কিন অর্থনীতি মন্দার আশঙ্কা দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেডারেল রিজার্ভের বেঁধে দেয়া উচ্চ সুদহার যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।   

গত প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি সম্প্রসারণের মূলে রয়েছে ভোক্তা পর্যায়ের ব্যয়, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। গাড়ি ও যন্ত্রপাতির মতো পণ্যে ব্যয়ের পরিমাণ বছরের প্রথম তিন মাসের ২ দশমিক ৩ থেকে এপ্রিল-জুনে বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যবসায় বিনিয়োগ বেড়েছে। এক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে সরঞ্জাম খাত। এ খাতে বিনিয়োগ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। 

এদিকে ফেড কর্মকর্তারা আবারো বলেছেন, মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দ্রুত সুদহার কমানো শুরু করতে প্রস্তুত, যা সেপ্টেম্বর নাগাদ কার্যকর হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে কমেরিকা ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল অ্যাডামস বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের জিডিপি প্রতিবেদনে আশ্বস্ত হবে ফেড। মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কমে যাওয়ায় ফেড মনে করছে, সুদের হার কমানোর সময় ঘনিয়ে আসছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন