যুক্তরাজ্যে পেট্রলচালিত গাড়ি বন্ধে প্রণোদনার পক্ষে ইভি নির্মাতারা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রিটিশ ইভি নির্মাতা রিভারসিম্পলের কয়েকটি গাড়ি ছবি: রিভারসিম্পল

বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। এ অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধ করে দিতে চায় দেশটি। এর বদলে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) দিকে নজর নীতিনির্ধারকদের। কিন্তু এতে একাধিক বাধা দেখতে পাচ্ছেন ইভি নির্মাতারা। তারা চান, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ি বন্ধে সরকার প্রণোদনা চালু করুক। খবর বিবিসি। 

দেশটির গাড়ি নির্মাতারা বলছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যবহারকারীদের ইভি কেনার জন্য বেশি পরিমাণে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। 

যুক্তরাজ্যের সোস্যাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স (এসএমএমটি) বলছে, পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ির পরিবর্তে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির ব্যবহার শুরু করতে হলে একে আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী করতে হবে। এজন্য ভালো সহায়তা প্যাকেজ প্রয়োজন। 

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে ও বাজার বাড়াতে গাড়ি নির্মাতারা ইভি নির্মাণে মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছে। তবে তা সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির উৎপাদন ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত নেমে গেছে বলে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। 

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে সড়কে বন্ধ হবে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ির চলাচল। তবে নতুন লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ সময়সীমা কমিয়ে ২০৩০ সালে নামিয়ে আনে। এসএমএমটি বলছে, সময়সীমা কমিয়ে আনায় ভালো না খারাপ, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। 

গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড বলছে, সময়সীমা কমিয়ে আনার ফলে তাদের বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ পদক্ষেপ তাদের আরো বেশি ইভি উৎপাদন করতে বাধ্য করেছে। তবে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অধরাই থেকে গেছে। এর কারণ হিসেবে গ্রাহকদের গাড়ি পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট প্রণোদনা না দেয়াকেই দায়ী করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে টয়োটা বলেছে, এ সিদ্ধান্ত একদম প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। 

এসএমএমটির চিফ এক্সিকিউটিভ মাইক হাওয়েস বলেছেন, ‘সময়সীমা কমিয়ে আনা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু নীতিমালায় এটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি যে সময়সীমা শেষে তেলে চালিত গাড়িগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা হবে কিনা। অনেক নির্মাতাই সরকারের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করবে। কিন্তু এটা হয়তো নির্মাতাদের জন্যও ভালো হবে না, ভালো হবে না ব্যবহারকারীদের জন্যও।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন