কোটা আন্দোলন ঘিরে নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে ময়মনসিংহে সংঘর্ষকালে গুলিবিদ্ধ কিশোর মো. জামান মিয়ার (১৭) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সে মারা যায়। জামানকে নিয়ে ১৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২০৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর এ হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। যদিও সব হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকারের কোনো সংস্থা থেকেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। 

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো কয়েক হাজার লোক। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে কারো কারো অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।   

পুলিশ জানায়, জামান মিয়া পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল। তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলের দেউয়াল ডাংরায়। বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘জামান মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। সে ময়মনসিংহ সদরের শেখেরচরের বাবুরহাটে একটি মেসে থাকত। গত রোববার বিকালে শেখেরচর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় জামান গুলিবিদ্ধ হয়। শরীরের একাধিক স্থানে গুলি লাগে। এর মধ্যে একটি গুলি তার পেটের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।’ 

এর আগে ১৯ জুলাই রায়েরবাগে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ পথচারী মো. জাকির হোসেন (২৯) বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জাকির রায়েরবাগে একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন রায়েরবাগে। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায়। বাবার নাম আবদুল মান্নান খান।

জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন জাকির। এ সময় রায়েরবাগ এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জাকির গুলিবিদ্ধ হন। তার তলপেটে গুলি লাগে। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সোয় ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন