গণ-আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ড. ইউনূস

বাসস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গতকাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছবি: পিআইডি

গণ-আন্দোলনে আহতদের দেখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল (এনআইএনএস) পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সেখানে গিয়ে তিনি আহত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করেন হাসপাতালের পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদ। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হওয়া অন্তত ১১ জন বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে আটজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।

প্রধান উপদেষ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আহত চার শিক্ষার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ চারজনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ চারজনের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলমসহ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের খসড়া হিসাব বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত-সহিংসতায় দেশে অন্তত ৬২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। আহতদের মধ্যে অনেকেই এখনো দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান 

সাক্ষরতার লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণসহ সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতন ও উদীপ্ত করে তাদের মানবসম্পদে রূপান্তর করা। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম হলো শিক্ষা। দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারও শিক্ষা। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, ‘মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন