ছবি : সংগৃহীত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আজ জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করবে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকাল সাড়ে ৪টায় এ নাগরিক কমিটি প্রকাশ করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ এবং সহস্রাধিক শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক দফার দ্বিতীয় ধাপ তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে নতুন রাজনৈতিক ভাষা ও জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা হাজির করেছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করতে হবে।
নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে সমাজে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সঙ্গে মত আদান-প্রদানের মাধ্যমে নতুন ঐতিহাসিক বোঝাপড়ায় উপনীত হওয়া এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণকে সংগঠিত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
এর আগে গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে প্রথম জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বলা হয়, ‘জনগণকে সংগঠিত রাখা, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণে সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্বের জায়গা থেকে গত ২৩ আগস্ট একটি সভায় বসেছিলাম। সভায় আসা অতিথিদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কমিটি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করবে।’
