ভ্রমণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় থাই এয়ারলাইনসগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর বিদেশী পর্যটক ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে থাইল্যান্ড। সরকারের সিদ্ধান্তের পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশটির আকাশপথে ভ্রমণ পরিষেবা খাত। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি আগের অবস্থায় না ফিরলেও মহামারীর মন্দা কাটিয়ে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটছে খাতটি। খবর নিক্কেই এশিয়া।

যদিও জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য এবং ডলারের বিপরীতে থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথের অব্যাহত পতনের কারণে জীবনযাপনের ব্যয় অনেক বেড়েছে। কারণে প্রত্যাশিত গতিতে পুনরুদ্ধার হয়নি। ফলে সামগ্রিক বিচারে এখনো লোকসান গুনতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এয়ারলাইনসগুলোর আয় বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনো মুনাফায় ফিরতে পারেনি।

থাই এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছে ৪৮০ কোটি থাই বাথ, যা ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমান। গত বছর একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল হাজার কোটি বাথ।

থাই এয়ার এশিয়াও একই প্রান্তিকে ৪০০ কোটি থাই বাথ লোকসানের কথা জানিয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি বাথ। ব্যাংকক এয়ারওয়েজ সবচেয়ে কম লোকসান করেছে। তাদের লোকসানের পরিমাণ ৩৯ কোটি ২০ লাখ বাথ, যা আগের বছর ছিল ৬৯০ কোটি বাথ।

এশিয়া প্লাস সিকিউরিটির বিশ্লেষকদের মতে, থাইল্যান্ডের এয়ারলাইনসগুলো ব্যবহার করে প্রচুর পর্যটক দেশটিতে প্রবেশ করছেন। সে কারণে রাজস্ব বেড়েছে। কিন্তু মুনাফা করার জন্য যে পরিমাণ সক্ষমতা থাকা দরকার, সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি।

ট্যুরিজম অথরিটি অব থাইল্যান্ডের (টিএটি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৭৬ লাখ পর্যটক থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। গত বছর সংখ্যা ছিল লাখ ২৭ হাজার। টিএটির প্রত্যাশা, যেহেতু সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে, বিধিনিষেধও উঠে গিয়েছে। তাই বছর পর্যটকের সংখ্যা কোটি ছাড়াবে। আর সব ঠিক থাকলে আগামী বছর কোটি ৮০ লাখ পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে থাই এয়ারওয়েজের আয় বেড়েছে ৫৮২ শতাংশ। গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকে আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৮০ কোটি বাথ। চলতি বছর যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ২৯০ কোটি বাথে। একইভাবে এয়ার এশিয়ার আয় বেড়েছে ৯৬৯ শতাংশ এবং ব্যাংকক এয়ারওয়েজের বেড়েছে ৪৮৬ শতাংশ।

এর মধ্যে বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে অনেকটা লাফিয়ে লাফিয়ে। গত বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেড়ে এখন তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪৬ ডলার। যার কারণে পর্যটক বাড়লেও এখনো মুনাফায় ফিরতে পারছে না এয়ারলাইনসগুলো। চতুর্থ প্রান্তিক শেষে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হবে এবং খাতটি পুনরুদ্ধারের পথে আরো এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা খাত সংশ্লিষ্টদের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন