আট বছরের মধ্যে গত ডিসেম্বরে দেশে পণ্যের দাম সর্বাধিক বেড়েছে। ফলে সরকারি মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস আবার পর্যালোচনা করছে সিঙ্গাপুর। গতকাল দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজের ভাড়া বাড়ার বিষয়টি এ মূল্যস্ফীতিকে বেশি প্রভাবিত করেছে। খবর রয়টার্স।
সরকারি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালে দ্রুত দাম পরিবর্তনশীল পণ্যগুলোসহ মোট মূল্যস্ফীতি হবে ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। সেগুলো ছাড়া মূল্যস্ফীতি হবে ১ থেকে ২ শতাংশ। সেই পূর্বাভাসই আবার পর্যালোচনা করছে সিঙ্গাপুর।
ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরে দ্রুত দাম পরিবর্তনশীল পণ্যের (যেমন খাদ্য ও জ্বালানি) হিসাব বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত দামের তুলনায় এক বছরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৪ সালের জুলাইয়ের পর এটাই সর্বোচ্চ হার। এ বাড়ার হার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল বাড়ার পরিমাণ হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি কিছুটা কঠোর করে। আগামী এপ্রিলে আবার এসব নীতির পর্যালোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সেই সময়ে তা আরো কঠোর করা হবে।
তথ্য বলছে, দ্রুত দাম পরিবর্তনশীল পণ্যগুলোসহ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ শতাংশ। গত নয় বছরের মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ। যেখানে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, মূল্যস্ফীতি বাড়বে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী বড় দুটি বিষয় ছিল উড়োজাহাজের ভাড়া ও কভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি।
সিঙ্গাপুরের মিনিস্ট্রি অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমটিআই) এবং মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজে ভ্রমণের খরচ, খাবার ও তেলসহ অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের সাম্প্রতিক মেয়াদে মূল্যস্ফীতি নিয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তা রয়েছে।