ওমিক্রন কীভাবে শনাক্ত করা হয়?

বণিক বার্তা অনলাইন

নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে জনমনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছে, বিশ্বের সবদেশকেই ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াতে পারে এজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তবে ধরনটির ব্যাপার বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত এখনও হাতে না আসায় এই উদ্বেগ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরইমধ্যে টিকা তৈরি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক প্রধান উগুর সাহিন ও মডার্নার সিইও স্টিফেন ব্যানসেল জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রচলিত করোনার টিকা কতটা কার্যকর তা জানতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে ওমিক্রন কীভাবে শনাক্ত করা হয়, তা উঠে এসেছে।

ওমিক্রন শনাক্তে কী পরীক্ষা করা হয় ?

পিসিআর টেস্ট থেকে নেয়া হয় সোয়াব। এটি বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয় ল্যাবে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটি ওমিক্রন, ডেল্টা বা অন্যকিছুতে সংক্রমিত কিনা।  যুক্তরাজ্যের সকল ল্যাব না হলেও এক তৃতীয়াংশের বেশি ল্যাব ওমিক্রন শনাক্ত করতে সক্ষম। এর অর্থ কিছু দেশ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দ্রুত ও বেশি সংখ্যক ওমিক্রন শনাক্ত করতে পারবে। সন্দেহভাজন ওমিক্রন রোগীর ক্ষেত্র নিশ্চিত হতে পূর্ণাঙ্গ জেনেটিক এনালাইসিস দরকার। এজন্য অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। 

লক্ষণ থাকলে পিসিআর টেস্ট সরকারিভাবে বিনামূল্যে অথবা ভ্রমণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টাকা দিয়ে পরীক্ষা করানো যাবে। তবে এতে পার্থক্য থাকেই। 

যেভাবে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হলো

যুক্তরাজ্যে যে কৌশলে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে তার নাম জেনোমিক সিকোয়েন্সিং। সম্ভাব্য ওমিক্রন পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে কিছু মানুষের এ ধরণ ধরা পড়ে। ধারণা করা, শনাক্ত ছাড়াও যুক্তরাজ্যে অনেকেই এই ধরণ বহন করছেন। কেননা ওমিক্রন শনাক্তের প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে। 

তবে যুক্তরাজ্যে এখনও ডেল্টা ধরনের কভিড রোগীই বেশি। সরকারি হিসাবে দেশটিতে দৈনিক ৪০ হাজার নতুন কভিড শনাক্ত হয়। 

রাপিড অথবা ল্যাটেরাল টেস্ট (এলএফটি) বাড়িতেই করা যায়। তবে এতে কোন ভ্যারিয়েন্ট তা আলাদা করে জানা যায়না। তবে পজেটিভ নাকি ন্যাগেটিভ তা জানা যায়। আর ওমিক্রন ধরণ থাকলে তো পজেটিভ আসবেই। এলএফটি পরীক্ষায় যদি পজেটিভ ফল আসে, তখনই নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে এবং ওমিক্রন কিনা জানতে অবশ্যই যতদ্রুত সম্ভব পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। 

ওমিক্রনের সাথে করোনার অন্য ধরনের কী পার্থক্য?

ওমিক্রনের ধরনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, যা আগে দেখা যায়নি। এদের বেশিরভাগই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। যেটি বেশিরভাগ টিকারই লক্ষ্য। এটাই বেশি উদ্বেগের। মানসম্মত পরীক্ষায় ওমিক্রনের 'এস জেনে ড্রপআউট' পাওয়া যায়, এটিই নতুন ধরনের ইঙ্গিত দেয়। তবে সকল 'এস জেনে ড্রপআউট'ই ওমিক্রন নয়, এটা নিশ্চিত হতে পূর্ণাঙ্গ জেনোম সিকোয়েন্স দরকার।  

ওমিক্রনের উপসর্গ কী?

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়ানো ভাইরাসটির নতুন ধরনে আক্রান্তদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী। তাদের শরীরে লক্ষণগুলোও খুব একটা গুরুতর নয়। ডেল্টা ধরনের সাথে সামান্যই পার্থক্য বিদ্যমান। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলি আলাদা করতেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার। এজন্য সময় লাগবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন