অভিবাসী ইস্যু : ট্রাম্পের নীতি ফিরিয়ে সমালোচনায় বাইডেন

বণিক বার্তা অনলাইন

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ফেরানোয় মানবাধিকার গোষ্ঠির সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসনের জন্য অন্ধকার দিন বলে মন্তব্য করেছে আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিল।

এই নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে চাওয়া অভিবাসী প্রত্যাশীদের দাবি প্রক্রিয়াধীন থাকা পর্যন্ত মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্পের ওই নীতিকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেটিই পুনরায় কার্যকর করতে যাচ্ছে তার প্রশাসন। রিপাবলিকানরাও সীমান্ত অঞ্চলে শৃঙ্খলা ফেরাতে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নামে পরিচিত এ নীতি গ্রহণে সম্মতি দিয়েছে দেশটি। এর আগে গত জুনে নীতিটি বাতিল করেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস। আগস্টে ফেডারেল আদালতে ট্রাম্পের নিয়োগ করা বিচারক ম্যাথু ক্যাকসমারিক নীতিটি ভুলভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে রায় দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করে বাইডেন প্রশাসন। 

গতকাল হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, জো বাইডেন তার মন্তব্যে অটল। তবে আমরা আমরা আইন মেনে চলতেও বিশ্বাস করি। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন কর্মসূচিটি চালু করেন, এর নাম ছিল অভিবাসী সুরক্ষা প্রোটোকল। এর আওতায় ৬০ হাজার আশ্রয় প্রার্থী আবেদনকারীকে মেক্সিকোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। 

এ নীতির অধীনে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশী মেক্সিকো সীমান্তে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদের বেশ কয়েক মাস মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় তারা কখনো কখনো অপরাধ চক্রের শিকারে পরিণত হতো।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা মার্কিন সংস্থাগুলো বলছে, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সীমান্ত শিবিরগুলোতে অপরাধ ও সহিংসতা বাড়বে। দাতব্য সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট বলছে, মেক্সিকোতে ফিরে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং অন্যান্য নির্যাতনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী সপ্তাহে  টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় সীমান্তে এই নীতি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন