সৌদি আরবের কুরিয়ার ও ডেলিভারি মার্কেটের ব্যবসা ছাড়িয়েছে ৯৭ কোটি ডলার।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সাল নাগাদ এ খাতে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।
খবর আরব নিউজ
ডাবলিনভিত্তিক রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের উদীয়মান এ খাতে সৌদি আরবই মূল ভূমিকা পালন করছে।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, এ খাতের ব্যবসা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো ই-কমার্স বা অনলাইন কেনাকাটা।
সংযোগের উচ্চহার, তরুণদের বড় একটি অংশ কর্মজীবী হওয়া ও উন্নত অবকাঠামো সুবিধার কারণে দেশটির মানুষের মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ই-কমার্স খাতের মূল ব্যবসাটাই এখন সৌদি আরবকেন্দ্রিক।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কেনা-বেচার ক্ষেত্রে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ক্রেতা সরাসরি দোকান বা পিকআপ পয়েন্ট থেকে পণ্য বুঝে নেন।
বাকিরা নিজের বাড়ি বা অফিসে বসেই পণ্য হাতে পেতে চান।
ফলে কুরিয়ার ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর কাজের পরিধি বেড়ে যায়।
বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি ও জীবনযাপনের পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে বড় হচ্ছে ই-কমার্স খাত।
এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে।
ফলে ই-কমার্স খাতের পণ্য ডেলিভারি করতে বা সহজে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি কোম্পানিগুলোরও।
বৈশ্বিক অনলাইন প্লাটফর্ম জায়ান্ট অ্যামাজনও সৌদি আরবে ব্যবসা করছে।
গত মার্চে তারা জানায়, দেশটিতে মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে মোট ১১টি ভবনকে ওয়্যারহাউজ হিসেবে যুক্ত করেছে তারা।
এর মাধ্যমে সেখানে তাদের মজুদ সক্ষমতা বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটার মতে, চলতি বছর সৌদি আরবে ই-কমার্স খাত থেকে পাওয়া রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০৫ কোটি ডলারের বেশি।
২০২৫ সাল নাগাদ ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে এর পরিমাণ হবে প্রায় ৮৭০ কোটি ডলার।
আরব ধনকুবের মজিদ আল ফুত্তাইম আরব নিউজকে বলেন, ই-কমার্স খাতে মানুষের আগ্রহের কারণেই তাদের চাহিদা পূরণ করতে ডেলিভারি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি জানান, রিয়াদে তার প্রতিষ্ঠানের নয় হাজার বর্গমিটারের সেন্টারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।
কেবল অর্ডার প্রক্রিয়াকরণে ব্যস্ত থাকেন ৫০০ কর্মী।
১৫০টি বিশেষায়িত ট্রাকের মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করা হয়।
সামনের বছর এ রকম আরো সেন্টার খোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
ই-কমার্স খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যেহেতু তাদের খাতটি দ্রুত বড় হচ্ছে তাই ডেলিভারির ক্ষেত্রে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা বেশ ব্যয়বহুল।
তাই ব্যয় কমাতে ও বাজারের চাপ নিরসনে আরো বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করতে হবে।
আগামী কয়েক বছরে খাতটির পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখবে প্রযুক্তি।
বিশেষ করে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নতির কারণে সামনের দিনগুলোতে খাতটি আরো বড় হবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
