শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আবারো অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ মহামারী চলাকালে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে না দেয়ার অনুরোধ বেশি পাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আমার কাছে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বার্তা আসে। সেসব বার্তার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়েই অনুরোধ আসে বেশি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলন হচ্ছে বলে নানা জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য আমরা জনগণকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই ক্যাম্পাস খোলা হবে। কোনো অবস্থায়ই আমরা জনগণের স্বাস্থ্যনিরাপত্তাকে অবহেলা করব না। তিনি বলেন, অনেক জায়গা থেকেই চাপ আছে। কিন্তু বৃহত্তর কোনো ছাত্রসমাজ বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চাপ নেই।

এর আগে গত বুধবার অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সে সময় কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে তারও পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে গতকাল তার দেয়া বক্তব্যের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি আবারো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

জনতার প্রত্যাশা নামের একটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সমাজের সভাপতি সোহরাব খান। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, আবদুল মতিন খসরুর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তার কাছে সহজেই পৌঁছা যেত। তাকে কেউ অপছন্দ করতে পারতেন না। আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী তার কাছে ঋণী। ২০০১ সালের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিপীড়নে মতিন খসরু আইনি লড়াই লড়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বিচারে ইনডেমনিটি আইন বাতিলে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন