গত কয়েক মাসে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছিল বলিউড। গত বছর থেকে আটকে থাকা বড় কয়েকটি ছবি সামনে ইদ উপলক্ষে মুক্তি দেয়ার তারিখও ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু সব পরিকল্পনায় ঠাণ্ডা পানি ছিটিয়ে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণের ঢেউ। বলা হচ্ছে, বলিউডে এখন ‘কী করব?’ পরিস্থিতি। সিনেমা হলগুলো খুলে যাওয়ার পর ভারতের হল মালিকরা আশায় বুক বাঁধছিলেন গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর। দর্শকরাও হলমুখী হচ্ছিলেন। সালমান খান, অক্ষয় কুমাররা তাদের ছবি নিয়ে প্রস্তুত। কিন্তু বিধি বাম!
২০২১ সালের এপ্রিল যেন ২০২০ সালের এপ্রিলের চেহারাতেই ফিরে এসেছে। ভারতে কভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গতকাল পর্যন্ত ভারতে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা না এলেও সংশ্লিষ্টরা টের পাচ্ছেন পরিস্থিতি যেন সেদিকেই যাচ্ছে।
রুহি, মুম্বাই সাগার মতো ছবি হলে দর্শক টানতে শুরু করেছিল। কিন্তু করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বান্টি অর বাবলি টু, চেহরে, হাতি মেরে সাথি ছবির মুক্তির তারিখ। চেহরে ও বান্টি অর বাবলি টু এপ্রিলেই মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এ দুটো ছবি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় এপ্রিল মাসটি চলচ্চিত্রশূন্য হয়ে যাচ্ছে। সালমান খানের রাধে আগামী ১৩ মে, জন আব্রাহামের সত্যমে জয়তে টু ১৪ মে ও অক্ষয় কুমারের বেল বটম ২৮ মে মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু ততদিনে ভারতে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা আছে।
বলিউডের চেয়ে অবশ্য দক্ষিণের পরিস্থিতি ইতিবাচক। সেখানে জানুয়ারিতে মাস্টার মুক্তি পাওয়ার পর সিনেমা হলে সিট একটিও ফাঁকা থাকেনি। রবি তেজার ক্র্যাকও সাফল্য পেয়েছে। ২ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে নাগার্জুনের ওয়াইল্ড ডগ। জুলাইয়ে দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রিতে আসবে মহেশ বাবুর মেজর, যশের কেজিএফ চ্যাপ্টার টু ও প্রভাসের রাধে শ্যাম।
দক্ষিণের তুলনায় বলিউডের জন্য এ বছরটা নিষ্প্রভই মনে হচ্ছে। সালমান খান, অক্ষয় কুমার ও জন আব্রাহামের কাঁধেই থাকবে এ বছর বলিউডের ঘুরে দাঁড়ানোর মূল দায়িত্বটা। কিন্তু করোনার নতুন ঢেউয়ে সে আশা কতদূর পূরণ হবে সেটা হয়তো শিগগিরই জানা যাবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে