তিন প্রান্তিক: ম্যারিকোর বিক্রি বেড়েছে ১৪%

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) এফএমসিজি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশের বিক্রি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ১৬ শতাংশ। বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি প্রথম তিন প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফাও বেড়েছে। 

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ ম্যারিকো বাংলাদেশের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ৮৭৭ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৭৬৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ১১০ কোটি টাকা। আর চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ম্যারিকো বাংলাদেশের কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের  একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২১৪ কোটি টাকা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছির  ৬২ কোটি টাকা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৭৯ টাকা ৩৫ পয়সা, যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৭ টাকা ৮৮ পয়সা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৮ পয়সায়, যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ২৫ পয়সায়।

২০২০ সালের  ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসের আর্থিক ফলাফলের ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ম্যারিকো বাংলাদেশের পর্ষদ। এর আগে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩০০ শতাংশ ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২০০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আর সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৯৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, ভারতের মুম্বাইভিত্তিক এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকোর আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসার ৪৯ শতাংশই আসে বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশের বাজারে ম্যারিকোর রাজস্ব আয়ের ৬৫ শতাংশই আসে প্যারাশুট ব্র্যান্ডের নারকেল তেল থেকে। আর ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ আসে ভ্যালু অ্যাডেড তেল থেকে। কভিড-১৯ এর কারণে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ ও পারসোনাল হাইজিন জাতীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ার কারণে গেল বছরের এপ্রিল থেকে নিজেদের পোর্টফোলিওতে এসব পণ্য যুক্ত করেছে ম্যারিকো। এতে নারকেল তেল বহির্ভূত পণ্য থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রবৃদ্ধি হয়েছে কোম্পানিটির। পাশাপাশি পণ্যের বাড়তি চাহিদা মেটাতে চট্রগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নতুন একটি কারখানা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। এই কারখানায় ভোজ্য ও নারকেল তেল বাদে অন্যান্য পণ্য উত্পাদন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন