ইউরোপের অন্যান্য দেশের উদারনীতিক আইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২৮ দিন নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। খবর এএফপি।
বর্তমানে যে ১৪ দিনের ছুটি কার্যকর রয়েছে, তা ২০০২ সালে কার্যকর হয়েছিল। ওই সময়ের তুলনায় ইউরোপের সবচেয়ে অগ্রসর ব্যবস্থা ছিল এটি। কিন্তু নরডিক দেশগুলোসহ কিছু দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশ যে উদারনীতিক ছুটি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তার তুলনায় পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স। পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের ব্যাপারে মাঝামাঝি অবস্থান থেকে এখন স্পেন, সুইডেন, নরওয়ে ও পর্তুগালের মতো প্রথম সারির দেশগুলোর সঙ্গে জায়গা করে নেবে ফ্রান্স—এমনটাই দাবি এলিসি প্রাসাদের এক কর্মকর্তার।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, শিশু ও পিতা-মাতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সময় একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর। বর্তমানে ১৪ দিনের ছুটির বিষয়টি খুবই ছোট। সংস্কার প্রস্তাবটিতে ফ্রান্সের ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে।
বুধবার প্যারিসের দক্ষিণ উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র (পিএমআই) পরিদর্শনে গিয়ে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানাবেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
শিশুর প্রথম এক হাজার দিনের গুরুত্ব নিয়ে গত নভেম্বরে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন মাখোঁ। ফরাসি মনোবিদ বরিস সাইরুলনিক নয় সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রস্তাব করেছিলেন।
এলিসি প্রাসাদের ওই কর্মকর্তা বলেন, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও শিশুদের জীবনে পিতার অবস্থান বিবেচনায় পিতৃত্বকালীন ছুটি দ্বিগুণ বাড়ানো অনেক বড় একটি পরিবর্তন।