করোনাকালে মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে পাঁচ পর্বের এনথোলজি সিরিজ ‘বাঘ বন্দি সিংহ বন্দি’। মহামারীকালে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা, জীবিকা, সামাজিক অবস্থান, শারীরিক ও মানসিক বির্পযয়ের নতুন অভিজ্ঞতাগুলোই পাঁচটি ভিন্নধর্মী গল্পের মাধ্যমে এ সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও নির্মাতা প্রায় ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ গল্পগুলো লিখেছেন। তারাই নিজেদের লেখা গল্পের চিত্রনাট্য রচনা ও শর্টফিল্মগুলো পরিচালনা করেছেন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশের ডিজিটাল বিনোদন প্লাটফর্ম বিনজ্-এ ‘বাঘ বন্দি সিংহ বন্দি’
সিরিজটি দেখতে পাবেন দর্শকরা। বিনজ্-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
‘বাঘ বন্দি সিংহ বন্দি’
সিরিজের ‘আড়াই মন স্বপ্ন’
শর্টফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আবু শাহেদ ইমন। এখানে এ সংকট চলাকালে সমাজের নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের চরম আর্থিক সংকটকে তুলে ধরেছেন তিনি। একই সঙ্গে সামাজিক বিভিন্ন অনিয়ম তাদের এ সংকটকে যে আরো গভীর করেছে সেটাও দেখিয়েছেন।
অভিজ্ঞ চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত সিরিজের ‘এসো বসে একসাথে খাই’
শর্টফিল্মটিতে লকডাউনে পরিবারের সদস্যদের মানসিক পরিবর্তনকে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দেখা যাবে এ সময়ে ঢিলেঢালা পারিবারিক বন্ধন একদিকে যেমন মজবুত হয়েছে, তেমনি অতি আপনজনও দূরে চলে গেছে।
পরিচালক অনিমেষ আইচ মহামারীর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধা ডাক্তারদের বেদনার গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন সিরিজের আরেকটি শর্টফিল্ম ‘মুখ আসমান’।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নির্মম মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সামাজিকভাবে দূরে সরিয়ে দেয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিরিজের ‘যাত্রী’
শর্টফিল্মটি। অভিজ্ঞ নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত এ শর্টফিল্মে আরো পাওয়া যাবে কাছের মানুষদের থেকে বিতাড়িত হলেও আক্রান্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো সম্পূর্ণ অপরিচিতদের মানবিক হূদয়ের পরিচয়।
সমাজের ভালোমন্দ নানা কর্মকাণ্ড ও পারিবারিক সম্পর্কগুলো করোনাভাইরাসে প্রভাবিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে নির্মিত হয়েছে ‘নিষিদ্ধ বাসর’
শর্টফিল্মটি। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক।
প্রতিটি শর্টফিল্ম নির্মাণের সময় সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছে।