ফেনী ও যশোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ফেনী ও যশোর

ফেনীর সোনাগাজী যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় দুটি পৃথকবন্দুকযুদ্ধেতিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এসব ঘটনায় নিহতদের তিনজনই ডাকাত বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের উত্তর মঙ্গলকান্দি এলাকায় বিসমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে দুদল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর কৃষ্ণজয় গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে শামছুল হুদা নিশান একই ইউনিয়নের সফরপুর মফিজ চেয়ারম্যান বাড়ির ওবায়দুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তবে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেনী থেকে ফেরার পথে তারা নিখোঁজ হন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলে নিশানের মরদেহ শনাক্ত করেন বাদশা মিয়া। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ফেনী আদালতে একটি ডাকাতির মামলায় হাজিরা দিয়ে নিশান শহরের বড় বাজারে বোনের বিয়ের বাজার করতে যান। দুপুরের দিকে একই মামলার আরেক আসামি সুজন ফোন করে নিশানকে ডেকে নিয়ে যান। তারপর থেকে নিশান নিখোঁজ ছিলেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে লোকমুখে খবর শুনে তিনি হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পান। বাদশা মিয়ার দাবি, তার ছেলে নিশান গ্রামে কৃষিকাজ করতেন। তাকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

অন্যদিকে শরিফুল ইসলামের বাবা ওবায়দুল হক হাসপাতাল মর্গে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করে বলেন, তার ছেলেউপকূলনামের একটি পরিবহনের গাড়ির চালক ছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি ডাকাতির মামলায় ফেনী আদালতে হাজিরা দিতে যান। আদালতে হাজিরা দেয়ার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুদল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের নাম নুরুল হক ওরফে কেরু। তিনি মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি গ্রামের মাজেদ গাজী বক্সের ছেলে।

কেশবপুর থানার ওসি মো. জসিম উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর উপজেলার চিংড়াখালী এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় লোকজন নুরুল হককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। নুরুল হক ১০টি ডাকাতি অস্ত্র মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার অস্ত্র সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য দেন। এরপর রাতে কেশবপুর মণিরামপুর থানার যৌথ পুলিশ দল তাকে নিয়ে বেগারিতলায় অভিযানে যায়। রাত ৩টার দিকে বেগারিতলা এলাকার সর্দার বাড়ি নার্সারির সামনে পৌঁছলে নুরুল হকের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। সময় গুলিবিদ্ধ হন নুরুল হক। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে নুরুল হককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন