ওয়েস অ্যান্ডারসনের আসন্ন ফিচারধর্মী চলচ্চিত্র দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ-এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কার ক্যাপশনসহ ছবিটির কয়েকটি স্থিরচিত্র ও পোস্টার প্রকাশ করে।
আইল অব ডগস ছবির পর দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ-এর মধ্য দিয়ে অ্যান্ডারসন আবারো লাইভ-ক্যামেরা-অ্যাকশনে ফিরলেন।
অ্যান্ডারসনের দ্য গ্র্যান্ড বুদাপেস্ট হোটেলকে এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে মনে করা হয়।
ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র ও পরিচালকসহ অস্কার আসরে নয়টি মনোনয়ন পেয়েছিল।
দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ-এ অ্যান্ডারসন টিমোথি শালামে, এলিজাবেথ মস ও বেনিসিও ডেল টোরোকে প্রথমবারের মতো তার চলচ্চিত্রে স্বাগত জানান।
এছাড়া ছবিটিতে অ্যান্ডারসন হাজির করেছেন বিল মুরে, বব বালাবান, জেফ গোল্ডব্লাম, টিলডা সুইনটন, লেয়া সিডু ও ওয়েন উইলসনকে।
দর্শকরা এ ছবিতে তাদের সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পাবেন।
সার্চলাইট স্টুডিওর অফিশিয়াল বিবৃতিতে দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছবিটি বিংশ শতাব্দীতে ফ্রাঞ্চ শহরে আমেরিকান সংবাদপত্র অফিসে সাংবাদিকদের প্রেমের চিঠির বর্ণনা এবং ‘দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এসব গল্পের সংগ্রহকে প্রাণবন্ত করে ফুটিয়ে তুলেছে।
দ্য গ্র্যান্ড বুদাপেস্ট হোটেল, যা বিশ্বব্যাপী ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল এবং আইল অব ডগস বিশ্বব্যাপী ৬৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
অ্যান্ডারসনের দুটি ছবিরই মুক্তির পেছনে সার্চলাইট স্টুডিও ছিল।
অ্যান্ডারসনের বরাবরের সহযোগী চিত্রগ্রাহক রবার্ট ইয়োমেন, সুরকার আলেকজান্দ্রে ডিসপ্লাট এবং সম্পাদক অ্যান্ড্রু উইসব্লুম দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ ছবির পেছনেও কাজ করেছেন।
দ্য নিউইয়র্কার কর্তৃক প্রকাশিত স্থিরচিত্রগুলোয় অ্যান্ডারসন গল্পের কেন্দ্রীয় কয়েকটি চরিত্রকে উপস্থাপন করেছেন।
যেখানে দেখা যায়, ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিল মুরে এবং তার সহকর্মী চরিত্রে রয়েছেন মস, উইলসন, ফিশার স্টিভেনস ও গ্রিফিন দুনে।
জেমস বোল্ডউইন এবং এ.জে. লাইব্লিং দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জেফ্রি রাইট অভিনয় করেছেন রোবাক রাইটের চরিত্রে।
টিমোথি শালামে ছবিটিতে এক বিপ্লবী ছাত্র জেফিরেলির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
গত মাসে সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি খবর প্রকাশ করেছিল যে, দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ ছবিটি নির্মাণে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
একই পরিমাণ অর্থ দ্য গ্র্যান্ড বুদাপেস্ট হোটেল তৈরিতেও লেগেছিল।
২৫
মিলিয়ন ডলার বাজেটের এ ছবি অ্যান্ডারসনকে অন্যতম সেরা লাইভ-অ্যাকশন ছবির খেতাব এনে দেয়।
যদিও এটা দ্য লাইফ অ্যাকোয়াটিক উইথ স্টিভ জিসু’র ৫০ মিলিয়ন ডলার থেকে বেশ দূরেই ছিল।
দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপ্যাচ ছবিটির বার্লিনের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি নিশ্চিত।
আগামী মে মাসে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটির আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে।
অ্যান্ডারসনের মুনরাইজ কিংডমও ২০১২ সালে কান চলচ্চিত্রে প্রিমিয়ার হয়েছিল।
এদিকে সার্চলাইট স্টুডিও ছবিটি ২৪ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিওয়্যার