ফিলিপাইনে অনুমোদন পেল গোল্ডেন রাইস

বণিক বার্তা অনলাইন

উদ্ভাবনের পর থেকেই গোল্ডেন রাইসের জৈব-নিরাপত্তা নিয়ে চলছিল নানা বিতর্ক। অবশেষে ফিলিপাইনে অনুমোদন পেল জেনেটিক্যালি মোডিফাইড (জিএম) এ চাল। দেশটির এগ্রিকালচার ব্যুরো অব প্লান্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকে এ চালকে অন্য চালের মতোই নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে এ চাল সরাসরি ফুড, ফিড ও প্রসেসিংয়ের (এপএফপি) জন্যও অনুমোদন দেয়া হয়।
 
ফিলিপাইনের রাইস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (ফিল-রাইস) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জন ডি লিয়ন এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জিআর২ই গোল্ডেন রাইসের এফএফপি অনুমোদন দেশটিতে ভিটামিন এ-এর ঘাটিতজনিত সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণে এ চাল বেশ সহায়ক হবে।
 
উল্লেখ্য, ভিটামিন এ-র ঘাটতি পূরণে ফিলিপাইনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পরিপূরক খাবার প্রদান ও পুষ্টি বিষয়ক শিক্ষা। কিন্তু তারপরও দেশটির ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ-র ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। দেশটিতে ২০০৮ সালে ছয় মাস-পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ১৫ দশমিক ২ শতাংশের ভিটামিন এ-র ঘাটতি ছিল। যা ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৪ শতাংশে। আশা করা হচ্ছে, গোল্ডেন রাইসের বিটা ক্যরোটিন গর্ভবতী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ-র গড় চাহিদার ৩০-৫০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (আইআরআরআই) ডিরেক্টর জেনারেল ম্যাথিউ মোরেল বলেন, ক্ষুধা ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণে ফিল-রাইসের সঙ্গে একত্রে এ উদ্ভাবন করতে পেরে আইআরআরআই খুশি। আর এভাবে দৈশিক চাহিদা পূরণে বৈশ্বিক সমাধান প্রদানই আইআরআরআইয়ের লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, ফিলিপাইন  খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশপাশি পরিবেশগত নিরাপত্তা ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে বেশ আগেই জৈব-প্রযুক্তির গুরুত্ব বুঝতে পারে।

ফিলিপাইনের আগে গত বছর আরো বেশ কয়েকটি দেশ গোল্ডেন রাইসকে নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাংলাদেশেও ২০১৭ সালের নভেম্বরে এ চালের জৈব-নিরাপত্তার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়, যা এখনো পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।

সূত্র,ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (আইআরআরআই)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন