ম্যাকডোনাল্ডস সিইও স্টিভ ইস্টারব্রুকের পদচ্যুতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

অধীনস্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় প্রতিষ্ঠানের সিইও স্টিভ ইস্টারব্রুককে পদচ্যুত করেছে মার্কিন ফাস্টফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ডসের পরিচালনা পর্ষদ। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠলেও ম্যাকডোনাল্ডসের ভাষ্য, এর মধ্য দিয়ে কোম্পানির নীতিমালা লঙ্ঘনের পাশাপাশি দুর্বল বিবেচনাবোধের প্রদর্শন করেছেন স্টিভ ইস্টারব্রুক।

স্টিভ ইস্টারব্রুকের গত বছরের আয় ছিল প্রায় কোটি ৬০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ। ম্যাকডোনাল্ডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের জন্য (সিভিয়ারেন্স) ২৬ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন তিনি। এছাড়া মূল্যায়নে তার অধীনে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে প্রমাণ হলে পারফরম্যান্স বোনাস হিসেবে আরো কিছু অর্থ পাবেন ইস্টারব্রুক।

কর্মীদের কাছে দেয়া এক -মেইল বার্তায় স্টিভ ইস্টারব্রুক তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তার ভুল হয়েছে বলে সময় মন্তব্য করেন তিনি। -মেইল বার্তায় ইস্টারব্রুক বলেন, কোম্পানির নীতি মেনে আমি বোর্ডের সঙ্গে বিষয়ে একমত, আমার এখন সরে যাওয়ার সময় হয়েছে।

৫২ বছর বয়সী ইস্টারব্রুক ১৯৯৩ সালে লন্ডনে ম্যাকডোনাল্ডসের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকে উন্নতি করতে করতে বর্তমানের অবস্থানে এসে পৌঁছেছেন তিনি। এর মধ্যে ২০১১ সালে ম্যাকডোনাল্ডস ছেড়ে পিত্জা এক্সপ্রেসের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে এশীয় ফুড চেইন ওয়াগামামায় চলে যান ইস্টারব্রুকস। ২০১৩ সালে কোম্পানির যুক্তরাজ্য উত্তর ইউরোপের প্রধান হিসেবে ম্যাকডোনাল্ডসে যোগ দেন তিনি। ২০১৫ সালে তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় ম্যাকডোনাল্ডসের পরিচালনা পর্ষদ।

শুক্রবার তাকেই অপসারণের পক্ষে ভোট দেন ফাস্টফুড জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সদস্যরা। স্টিভ ইস্টারব্রুক ম্যাকডোনাল্ডসের প্রেসিডেন্ট বোর্ড সদস্যের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।

ম্যাকডোনাল্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, অধীনস্থদের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি ম্যানেজারদের জন্য নিষিদ্ধ। বিষয়ে আইনি প্রতিষ্ঠান স্ল্যাটার অ্যান্ড গর্ডনের কর্মসংস্থানবিষয়ক আইনজীবী রুবি ডিনসমোর বলেন, সম্পর্কে জড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি বা ধরনের সম্পর্কের কথা জানিয়ে নোটিফিকেশন দেয়ার নিয়মকানুন চালু করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন কিছু নয়। কারণ এক্ষেত্রে স্বার্থের সম্ভাব্য সংঘাত বা সম্পর্ক তিক্ততায় মোড় নিলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। অনেকেই এটিকে ব্যক্তিসত্তার ওপর আঘাত হিসেবে দেখতে পারেন। কিন্তু প্রতিটি ব্যবসারই নিজের কিছু স্বার্থকে সুরক্ষা দিতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন