দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংক এজেন্ট

ফরিদপুরে গ্রাহকের অনশন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গত রোববার ১১টা থেকে ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার প্রবেশপথে অনশন শুরু করে প্রতারণার শিকার শতাধিক নারী-পুরুষ। তাদের অভিযোগ, প্রতারণা করে গ্রাহকের প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আক্তারুজ্জামান হাসু। তবে শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুহিত শেখ অনশনরত গ্রাহকদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিকালে অনশন ভাঙেন তারা।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় তিন বছর বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট নিয়ে জামান ট্রেডার্সের"নামে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন এজেন্ট আক্তারুজ্জামান হাসু (৫৫) তিনি বোয়ালমারী পৌরসদর বাজারের মৃত আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে।

সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে গেলে তাদের সঙ্গে নানা টালবাহানা করতে থাকেন এজেন্ট আক্তারুজ্জামান। চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই এজেন্ট ব্যাংকের কার্যালয়ে তালা মেরে সটকে পড়েন।

একাধিক গ্রাহক জানান, সারা দেশে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম থাকায় নিজ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে এফডিআর করেছিলেন তারা। এজেন্ট ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগসাজশে গ্রামের সহজ-সরল গ্রাহকের টাকা ব্যাংকের জমা রসিদের মাধ্যমে না নিয়ে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন।

প্রতারণার শিকার গ্রাহক হেনা পারভীন বলেন, ‘গত ২২ জুলাই আমি ১২ লাখ টাকা এফডিআর করি। আমাকে জামান ট্রেডার্সের নামে ইসলামী ব্যাংক বোয়ালমারী শাখার একটি হিসাবের ১২ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে। এখন শুনছি ব্যাংকের উদ্যোক্তা টাকা মূল শাখায় জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের মেয়ে রুখসানা লাখ টাকা রেখেছেন।

আউটলেটটির প্রধান হিসাবরক্ষক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘এই আউটলেটের অর্ধশত গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এজেন্ট পালিয়েছেন।

ইসলামী ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুহিত শেখ বলেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন