শপথ নিলেন শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট ‌দিশানায়েকে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলংকার দশম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থী নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। গতকাল সকালে রাজধানী কলম্বোয় ‘প্রেসিডেন্সিয়াল সেক্রেটারি’ ভবনে শপথ নেন তিনি। খবর বিবিসি।

শপথ অনুষ্ঠানে ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে বলেন, ‘একজন নেতা নির্বাচন হয়ে গেলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হয়ে যায় না। আমাদের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমরা রাজনীতির প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব।’

দিশানায়েকে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমি কোনো জাদুকর নই। আমি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমি অনেক কিছুই জানি; আবার অনেক কিছুই জানি না। আমার লক্ষ্য হলো যাদের জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে, তাদের একত্র করে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি স্বচ্ছ হওয়া দরকার। আর জনগণ একটি ভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষেই ভোট দিয়েছে। আমি এ পরিবর্তনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৩৯ জন। তবে লড়াই হয় মূলত তিন প্রার্থীর মধ্যে। তারা হলেন সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসা ও ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের নেতা কুমারা দিশানায়েকে। 

এনপিপি জোটের নেতৃত্বে রয়েছে দিশানায়েকের মার্ক্সবাদী দল জনতা বিমুক্তি পেরেমুনা (জেভিপি)। শ্রীলংকার পার্লামেন্টে জেভিপির আসন রয়েছে মাত্র তিনটি। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতির কারণে ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

দিশানায়েকের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৪ নভেম্বর, শ্রীলংকার মধ্যাঞ্চলীয় গালেওয়েলা শহরে। ১৯৮৭ সালে ইন্দো-শ্রীলংকা চুক্তির সময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরে তিনি যুক্ত হন জেভিপির সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে জেভিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন দিশানায়েকে। ২০০৮ সালে তিনি হন দলের প্রধান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন