এলএনজি আমদানি নীতির সুযোগ লুফে নেয় বিশেষ গোষ্ঠী

আবু তাহের

ছবি : বণিক বার্তা

দেশে গ্যাস সংকট নিরসনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ‘গ্যাস সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান-২০১৭’ তৈরি করেছিল। যেখানে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে ২০৪১ সাল পর্যন্ত এলএনজি আমদানিকেই মোটাদাগে প্রাধান্য দেয়া হয়। আর এ নীতিকে লুফে নেয় দেশী-বিদেশী বিশেষ কয়েকটি কোম্পানি। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে অন্তত দেড় লাখ কোটি টাকার এলএনজি। এসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার পেছনে মোটা অংকের কমিশন বাণিজ্য হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানি চুক্তি, টার্মিনাল নির্মাণ, রিগ্যাসিফিকেশন, স্পট মার্কেট থেকে সরবরাহসহ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো ঘুরেফিরে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি, সিঙ্গাপুরভিত্তিক এমএস গানভর ও ভিটল এশিয়া, জাপানের জেরা, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার। তবে সামিট গ্রুপকেই এ খাতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। 

এলএনজি খাতে দেশে সামিট গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ২০১৭ সালে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে ওই বছরের এপ্রিলে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৯ সালে এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ১৫ বছরের কাজ পায় স্থানীয় জ্বালানি খাতের জায়ান্টটি। সামিটের প্রথম অনুমোদন পাওয়া এলএনজি টার্মিনালটি ২০৩৩ সাল পর্যন্ত অপারেশনে থাকবে। দেশে তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়, সেটির কাজও পেয়েছে সামিট। তবে বিশেষ আইন স্থগিত থাকায় বর্তমানে এ টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রমটি অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এক্ষেত্রে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকার কাজ পাবে কোম্পানিটি। 

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, সামিটকে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তটি হয় মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে। কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ কাজ পাইয়ে দেয়ার পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর একক সিদ্ধান্ত ও চাপ ছিল। টার্মিনালটি নির্মাণে এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সায় পেলে দেশে গ্যাস সরবরাহের বড় অংশই থাকবে সামিটের হাতে। এর বাইরে বিদ্যুৎ খাতেও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির আধিপত্য। দেশের মোট বিদ্যুতের ইনস্টল ক্যাপাসিটির ৭ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে এককভাবে সামিটের বিদ্যুৎ সক্ষমতা ১৭ শতাংশ। 

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৬ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই। তখন বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পূর্ণ মালিকানা পায় প্রতিষ্ঠানটি। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে দায়মুক্তি দিয়ে বিশেষ বিধান পাস করে। তখন একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক হতে থাকে সামিট গ্রুপ। বর্তমানে গ্রুপটির দেড় হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। 

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসা শুরু করলেও সামিটের বড় ব্যবসা রয়েছে সিঙ্গাপুরে। অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ খাত থেকে বানানো অর্থ দিয়েই বিদেশে ব্যবসা গড়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনীও তিনি। ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে তার সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

দেশে এলএনজি সরবরাহে বর্তমানে ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এর একটির পরিচালনায় সামিট গ্রুপ, আরেকটির দায়িত্বে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। বিগত সরকারের আমালে চতুর্থ যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেটির কাজও এক্সিলারেটের পাওয়ার কথা ছিল। যদিও পরে আর এর নির্মাণ চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি সরবরাহেরও কাজ পেয়েছে এক্সিলারেট এনার্জি। গত বছরের নভেম্বরে পেট্রোবাংলার সঙ্গে এ চুক্তি হয় মার্কিন কোম্পানিটির।

দেশে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। এর বাইরে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে পেট্রোবাংলা। ঘুরেফিরে সে কাজ পাচ্ছে সিঙ্গাপুর, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন-চারটি কোম্পানি। অথচ এলএনজি আমদানির ব্যাপারে ২৩ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা আছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্পট থেকে এলএনজি আমদানির এ অনুমোদন বরাবরই বিগত সরকারের উপর মহল থেকে হয়েছে এবং কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকেই কাজ দেয়া হয়। এমনকি ঘুস দিয়ে কাজ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া। সিঙ্গাপুরভিত্তিক এ কোম্পানিটির বাংলাদেশী এজেন্ট সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এক আত্মীয় বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনাটা শুরু হয় মূলত ২০১২ সালের দিকে। সে সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাসের তীব্র সংকট ছিল। ২০১৫ সালের দিকে গ্যাস উৎপাদনে নিম্নমুখিতা দেখা গেলে ২০১৭ সালে ডেনমার্কের প্রকৌশল ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান র‍্যাম্বলকে দিয়ে এ খাত নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ওই সময় মধ্যম মেয়াদি এক প্রক্ষেপণে দেখানো হয়, ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে যে পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা তৈরি হবে, তাতে দৈনিক চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করতে হবে পেট্রোবাংলাকে। মূলত গ্যাস আমদানির এ পরিকল্পনাই দেশী-বিদেশী কোম্পানিগুলোর জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়। 

স্থানীয় গ্যাসের অনুসন্ধান কমে গেলে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এলএনজি আমদানি কার্যক্রম। বিশেষ আইনের আওতায় কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই তখন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে কাজ পায় মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি ও সামিট। টার্মিনাল নির্মাণ, গ্যাস রিগ্যাসিফিকেশন চার্জসহ চুক্তির শর্তে যা রয়েছে তা শেখ হাসিনা সরকারের উপর মহলের নির্দেশেই হয়েছে বলে জানা গেছে।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার দুজন সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, এলএনজি আমদানির এ প্রক্রিয়ায় সে সময় সরকার ও ব্যবসায়ীদের বড় একটি চক্র ছিল। যারা মূলত আমদানি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানকে নিরুৎসাহিত করেছে। এলএনজি আমদানির যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে মূলত তারা বিপুল অর্থে রিগ কিনে গ্যাস পাওয়া না গেলে বিপুল অর্থ অপচয়ের বিষয়টি সামনে এনেছে বারবার। বিপরীতে এলএনজি আমদানি করলে সেখানে পুরো টাকার গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এলএনজি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা ও আমদানি বরাবরই দেখভাল করেছেন তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তত দুজন সচিব এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে কাজ করা রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গত দুই দশকে দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শুধু বাপেক্সই তার সর্বোচ্চ সক্ষমতায় সীমিত পরিসরে কাজ করে গেছে। গ্যাস সংকটের সমাধান হিসেবে আমদানিনির্ভরতাকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ২০১৭ সালে গ্যাসের মহাপরিকল্পনায় কী পরিমাণ এলএনজি আমদানি করতে হবে সে বিষয়ে প্রাক্কলন করা ছিল, যা বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সুযোগ হিসেবে কাজ করেছে। কেননা আমদানির সুযোগ তৈরি হলে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হয়। আর ব্যবসায়ীদের মুনাফা হলে সেখান থেকে ভাগ পায় বিশেষ গোষ্ঠী। কারণ এখানে কমিশন বাণিজ্যের বড় সুযোগ থাকে।’ 

বিগত পাঁচ বছরে এলএনজি আমদানিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এতে দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়ে গেছে। অথচ অফশোরে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানিগুলোকে আনা গেলে দেশের কোনো অর্থ খরচ হতো না। গ্যাস না পেলে বিদেশী কোম্পানির লস হতো, আর গ্যাস পেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতো দেশের। পাশাপাশি অনশোরে বাপেক্স ছাড়া বিদেশী তেল ও গ্যাস কোম্পানি দিয়ে কোনো কাজ করানো হয়নি।’

দেশের জ্বালানি খাতে নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানিকেই কেবল কাজ দেয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য, এসব কোম্পানিকে বার বার কাজ দিয়ে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। এমনকি গ্যাসের তীব্র চাহিদার সময় এসব কোম্পানির যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়গুলো পেট্রোবাংলাকে নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘দেশে এলএনজি আমদানির দরকার ছিল, তবে অনুসন্ধান ঠিকঠাক করা গেলে যে পরিমাণ আমদানির প্রয়োজন দেখানো হচ্ছে, সেটি করা লাগত না। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে বরাবরই বিশেষ একটি কিংবা দুটি কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়েছে। কেন একই কোম্পানিকে বারবার কাজ দিতে হবে? বিশেষ আইনের আওতায় সামিটকে দুটি এলএনজি টার্মিনাল দেয়া হলো। কেন একটি কোম্পানির ওপর ডিপেন্ডেন্সি বাড়ানো হচ্ছে? প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ কাজ দেয়া গেলে দেশীয় কিংবা অন্য বিদেশী কোম্পানি কাজ পাওয়ার সুযোগ পেত। তাতে খরচ সাশ্রয়ের সুযোগ ছিল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতো। বিগত সরকারের সময়ে এসব কাজ দেয়া হয়েছে। এতে এনার্জি সিকিউরিটিতে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।’

দেশে গ্যাসের আমদানিনির্ভরতা কমাতে বর্তমানে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ পরিকল্পনা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হলেও সেখান থেকে প্রত্যাশিত গ্যাস পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেখান থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গ্রিডে গ্যাস যুক্ত করা যায়নি। পেট্রোবাংলা আরো ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যেখানে ব্যয় হবে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, ৫০টি কূপ খনন ও আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন বাস্তবায়ন করা গেলে প্রত্যাশিত গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। এর বাইরে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকে বিদেশী কোম্পানিগুলো সাড়া দিলে দেশে গ্যাস মজুদ আরো বেড়ে যেতে পারে বলে পেট্রোবাংলা মনে করছে। 

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘৫০টি কূপ খনন প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এখান থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা যাবে। স্থানীয়ভাবে গ্যাসের সংকট সমাধানে আরো ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা সরকার বাস্তবায়ন করলে বাপেক্সকে পূর্ণ সক্ষমতায় কাজে লাগানো যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন