‘‌হিরোইনরা কখনো বন্ধু হন না’

ফিচার ডেস্ক

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বলিউডের একসময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন মুমতাজ বেগম। তার নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভাসে কমলা রঙয়ের শাড়ি পরে ‘আজ কাল তেরে মেরে পেয়ার কে চারচে’ গানে পর্দায় নাচছেন। গতকাল ছিল এ অভিনেত্রীর ৭৭তম জন্মদিন। শিশুশিল্পী হিসেবে ১১ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন মুমতাজ। সেখান থেকেই পরিণত অভিনেত্রী হয়ে ওঠা। ১৯৬০-এর দিকে বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নায়িকার তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। তবে তার অভিনয় যাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নায়িকারা কখনো বন্ধু হন না। আগেও হতেন না, এখন হন না। এমনকি তারা কাজের বাইরে কখনো দেখাও করেন না। 

মুমতাজ মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ১০০টির মতো সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। সে সময় বলিউডের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সুপারস্টার অভিনেতা শাম্মী কাপুর, রাজেস খান্না, দিলীপ কুমার, জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্রর মতো হিরোদের হিরোইন হয়েছেন মুমতাজ। তবে একসময় তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল, তিনি একজন বি গ্রেডের হিরোইন। কারণ বেশ কিছুসংখ্যক সিনেমায় তিনি নামচরিত্র বাদেও কিছু পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছেন। যখনই মুমতাজ চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করার তখন অনেক অভিনেতাই তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর কারণ হিসেবে মুমতাজ বলেন, ‘আমি চোখ বন্ধ করে কাজ শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম বাকি সবকিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে সিনেমা জগতে আমার শুরুটা ছিল কিছুটা ভুল। আমার সঙ্গে কাজ না করার জন্য অভিনেতাদের দোষ দেব না। কারণ সবাই সফলতা চায়।’

মুমতাজ টাইমস এন্টারটেইনমেন্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বলেন, ‘অভিনেত্রীরা কখনই বন্ধু হতে পারে না, না আগে পেরেছিল, না বর্তমানে পারছে। এমনকি আমরা কখনো বাইরে দেখাও করি না। এটা সবসময়ই এমন। ’

সেই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারে ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়েও মুমতাজ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একদম টমবয়দের মতো দেখতে ছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করতে চাইত না। আমি জানি না, তাদের মনে কী ছিল। তবে মেয়ে বন্ধুর চেয়ে বলিউডে আমার ছেলে বন্ধু বেশি ছিল। কেউ নিজে থেকে আমার বন্ধু হতে আসেনি। হয় মানুষ তোমাকে নিয়ে হিংসা করবে অথবা তোমাকে ভালোবাসবে। দুটি বিষয়ের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।’

সূত্র ও ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন